সর্বশেষ

সোমবার, ১৪ জুলাই, ২০২৫

সাবিনা-সুমাইয়ার হ্যাটট্রিক, ঋতুপর্ণার গোল, পারো এফসির বড় জয়

সাবিনা-সুমাইয়ার হ্যাটট্রিক, ঋতুপর্ণার গোল, পারো এফসির বড় জয়

মিয়ানমারে এশিয়ান কাপ বাছাই টুর্নামেন্ট খেলে দেশে ফিরেই ভুটানে ফিরে যান বাংলাদেশের ফুটবলার ঋতুপর্ণা চাকমা ও মনিকা চাকমা। আজ তাদের ক্লাব পারো এফসি ভুটানের গেলেফু স্পোর্টস ক্লাবের বিপক্ষে মাঠে নামে এবং ১২-১ গোলের বিশাল ব্যবধানে জয়লাভ করে।

পারো এফসির হয়ে খেলেন বাংলাদেশের চার ফুটবলার—সাবিনা খাতুন, মনিকা চাকমা, ঋতুপর্ণা চাকমা এবং সুমাইয়া। আজকের ম্যাচে সাবিনা খাতুন দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে চারটি গোল করেন। সুমাইয়া করেন হ্যাটট্রিক, যেখানে ঋতুপর্ণা ও মনিকা একটি করে গোল যোগ করেন। বাকি তিনটি গোল আসে ভুটানের স্থানীয় ফুটবলারদের পা থেকে। ম্যাচে দারুণ পারফরম্যান্সের জন্য সুমাইয়া পান ম্যাচ সেরার পুরস্কার। পুরস্কার হাতে নিয়ে তিনি বলেন, “এই পারফরম্যান্সের পুরো কৃতিত্ব আমার টিমমেটদের। এই ট্রফি আমি আমার ক্লাবকে উৎসর্গ করছি। আমি ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলার চেষ্টা চালিয়ে যাব।” তবে, বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের বৃটিশ কোচ পিটার বাটলার সাবিনা, কৃষ্ণা, মাসুরা, সুমাইয়া ও সানজিদাকে জাতীয় দলে ডাকেন না। অথচ ভুটান লিগে এই ফুটবলাররা নিয়মিত গোল করছেন এবং ম্যাচ সেরার স্বীকৃতি পাচ্ছেন। যদিও ভুটান লিগের মান এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন রয়েছে।
লর্ডসে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে ভারতের হৃদয়ভাঙা হার

লর্ডসে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে ভারতের হৃদয়ভাঙা হার

লর্ডসের ঐতিহাসিক মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে রোমাঞ্চকর টেস্ট ম্যাচে ২২ রানের ব্যবধানে হেরেছে ভারত। শেষ দিনে জয়ের জন্য ভারতের প্রয়োজন ছিল ১৩৫ রান, আর ইংল্যান্ডের লক্ষ্য ছিল ৬ উইকেট। লর্ডসের উইকেটে এমন সমীকরণে ড্রয়ের সম্ভাবনা ছিল নগণ্য। ফলাফলও তাই, ৩০ ওভার বাকি থাকতেই অলআউট হয়ে ম্যাচ হেরেছে ভারত।

প্রথম ইনিংসে দুই দলই ৩৮৭ রান করে সমতায় ছিল। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতীয় বোলারদের দাপটে ইংল্যান্ড অলআউট হয় মাত্র ১৯২ রানে। ১৯৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভারত থামে ১৭০ রানে। পঞ্চম দিনে ৪ উইকেটে ৫৮ রান নিয়ে শুরু করে ভারত। সকালের সেশনে ইংল্যান্ডের বোলাররা দ্রুত চাপ সৃষ্টি করে। দিনের তৃতীয় ওভারে জোফরা আর্চার ঋষভ পান্তকে বোল্ড করেন। এরপর লোকেশ রাহুল ৩৯ রান করে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন। ওয়াশিংটন সুন্দরও ৪ বল খেলে রানের খাতা না খুলেই ফেরেন। ফলে ৮২ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে ভারত। এরপর রবীন্দ্র জাদেজা একাই লড়াই চালিয়ে যান। নীতিশ কুমার রেড্ডির সঙ্গে অষ্টম উইকেটে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন। কিন্তু নীতিশ ৫৩ বলে ১৩ রান করে আউট হন। জাসপ্রিত বুমরাহও ৫৪ বল খেলে জাদেজাকে সঙ্গ দেন। শেষ উইকেটে মোহাম্মদ সিরাজও লড়েন, কিন্তু ৩০ বলে ৪ রান করে শোয়েব বশিরের বলে বোল্ড হন। জাদেজা ১৮১ বলে ৬১ রানে অপরাজিত থাকলেও দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছাতে পারেননি। এই হারে ভারতীয় শিবিরে হতাশা ছড়ালেও জাদেজার একক লড়াই প্রশংসা কুড়িয়েছে। ইংল্যান্ডের দাপুটে বোলিং ও কৌশলের কাছে শেষ পর্যন্ত মাথা নত করতে হয়েছে ভারতকে।

রবিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৫

৩০০ টাকা থেকে শুরু, অনলাইনে মিলবে বাংলাদেশ-পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি সিরিজের টিকিট

৩০০ টাকা থেকে শুরু, অনলাইনে মিলবে বাংলাদেশ-পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি সিরিজের টিকিট


ঢাকা, ১৩ জুলাই: বাংলাদেশ-পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য টিকিটের মূল্য তালিকা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এবার সম্পূর্ণ অনলাইনে টিকিট বিক্রি হবে, এবং দর্শকদের কিছুটা বেশি মূল্য দিয়ে মাঠে খেলা উপভোগ করতে হবে। সর্বনিম্ন টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০০ টাকা।

ডাচ-বাংলা ব্যাংকের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং মধুমতি ব্যাংকের সহযোগিতায় আয়োজিত এই সিরিজের সব ম্যাচ মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। টিকিট সংগ্রহ করা যাবে www.gobcbticket.com.bd ওয়েবসাইট থেকে। প্রতিটি নিবন্ধিত অ্যাকাউন্ট থেকে একজন দর্শক সর্বোচ্চ চারটি টিকিট কিনতে পারবেন। টিকিট বিক্রি শুরু হবে আগামী ১৫ জুলাই থেকে। দর্শকরা টিকিট প্রিন্ট করে স্টেডিয়ামে আনতে পারবেন অথবা মোবাইল স্ক্রিনে দেখিয়েও প্রবেশ করতে পারবেন। অনলাইনে বিক্রি না হওয়া টিকিটগুলো ম্যাচের দিন স্টেডিয়ামের বাইরে নির্ধারিত বুথে পাওয়া যাবে। গত এপ্রিলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে সর্বনিম্ন টিকিটের মূল্য ছিল ২০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১,৫০০ টাকা। এবার সর্বনিম্ন মূল্য ৩০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৩,৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হবে ২০ জুলাই, এরপর ২২ ও ২৪ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে বাকি দুটি ম্যাচ। **টিকিটের মূল্য তালিকা:** - ইস্টার্ন গ্যালারি: ৩০০ টাকা - নর্দার্ন গ্যালারি: ৪০০ টাকা - শহীদ আবু সাঈদ স্ট্যান্ড: ৪০০ টাকা - ক্লাব হাউস (সাউথ - শহীদ মুশতাক স্ট্যান্ড): ৮০০ টাকা - ক্লাব হাউস (নর্থ - শহীদ জুয়েল স্ট্যান্ড): ৮০০ টাকা - ইন্টারন্যাশনাল গ্যালারি (নর্থ - মিডিয়া ব্লক): ১,৫০০ টাকা - ইন্টারন্যাশনাল গ্যালারি (সাউথ - কর্পোরেট ব্লক): ১,৫০০ টাকা - গ্র্যান্ড স্ট্যান্ড (লোয়ার ও আপার টিয়ার): ২,৫০০ টাকা - ইন্টারন্যাশনাল লাউঞ্জ (সাউথ - কর্পোরেট ব্লক): ৩,৫০০ টাকা ক্রিকেটপ্রেমীরা এই সিরিজে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের তুমুল লড়াই উপভোগ করতে মুখিয়ে আছেন।
শেষ মুহূর্তে তৃষ্ণার গোলে বাংলাদেশের নাটকীয় জয়!

শেষ মুহূর্তে তৃষ্ণার গোলে বাংলাদেশের নাটকীয় জয়!


ঢাকা, ১৩ জুলাই ২০২৫: চার জাতি সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী ফুটবল টুর্নামেন্টে স্বাগতিক বাংলাদেশ উপহার দিয়েছে এক রোমাঞ্চকর জয়। নির্ধারিত ৯০ মিনিটে স্কোরলাইন ছিল ২-২। কিন্তু ইনজুরি সময়ের শেষ মুহূর্তে তৃষ্ণা রাণীর গোল বাংলাদেশকে এনে দেয় পূর্ণ তিন পয়েন্ট। উমহেলা মারমার কাউন্টার অ্যাটাকিং পাসে নেপালের রক্ষণ ভেদ করে অসাধারণ ফিনিশিংয়ে গোলটি করেন এই ফরোয়ার্ড।

ম্যাচের শুরু থেকেই দাপুটে ছিল পিটার বাটলারের দল। ১৪ মিনিটে সাগরিকার মাঝমাঠ থেকে বাড়ানো পাসে মুনকি আক্তার নেপালের দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে গোলমুখে শট নেন। বল গোললাইনের কাছে প্রতিহত হলে নেপালের গঙ্গা রোকায়া তা ফিরিয়ে দেন। কিন্তু ফিরতি বলে সিনহা জাহান শিখার শটে জালে বল। ৩৭ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মোসাম্মৎ সাগরিকা। শান্তি মার্ডির ক্রস থেকে শিখার শট প্রথমে ঠেকানো হলেও, রিবাউন্ডে ঠাণ্ডা মাথায় গোল করেন সাগরিকা। প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের গতি বদলে যায় ৫৪ মিনিটে। সাগরিকা ও নেপালের এক ডিফেন্ডারের ধাক্কাধাক্কি হাতাহাতিতে গড়ায়। রেফারি উভয়কে লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠ থেকে বের করে দেন। আক্রমণভাগের গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলারকে হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ।[ এই সুযোগে নেপাল ম্যাচে ফেরে। ৭৫ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্যবধান কমায় তারা। ৮৬ মিনিটে মীনা দেউবার গোলে ২-২ সমতায় ফেরে নেপাল। ম্যাচ তখন ড্রয়ের দিকে এগোচ্ছিল। কিন্তু ইনজুরি সময়ের সপ্তম মিনিটে, যখন সবাই ড্র ধরে নিয়েছে, উমহেলা মারমার কাউন্টার অ্যাটাকিং পাস ধরে তৃষ্ণা রাণী নেপালের রক্ষণ ভেদ করে বক্সে ঢুকে দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে গোল করেন। নেপালের গোলরক্ষক ও ডিফেন্ডার নড়ার আগেই বল জালে। মাঠে তখন উল্লাস আর গ্যালারিতে হাজার দর্শকের হাততালি ও স্লোগানে উৎসবের আমেজ। এই জয়ে টুর্নামেন্টে শিরোপার দৌড়ে অন্যতম ফেভারিট বাংলাদেশ বড় এক ধাপ এগিয়ে গেল। নেপালের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে এই জয় বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ, বিশেষ করে যখন দলে সিনিয়র দলের একাধিক ফুটবলার রয়েছেন। এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ ও নেপালই শিরোপার প্রধান দাবিদার। আফঈদা খন্দকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন টেবিলের শীর্ষে। পরবর্তী ম্যাচে ১৫ জুলাই ভুটানের মুখোমুখি হবে তারা।
পিএসজি-চেলসি ফাইনাল: শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট কার মাথায়?

পিএসজি-চেলসি ফাইনাল: শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট কার মাথায়?


নিউজার্সি, ১৩ জুলাই ২০২৫: প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) তাদের ইতিহাসে সবচেয়ে স্মরণীয় সময় কাটাচ্ছে। প্রথমবার উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের মাধ্যমে ট্রেবল শিরোপা ঘরে তুলেছে লুইস এনরিকের দল। এবার ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালেও ফেভারিট হিসেবে মাঠে নামছে তারা। তাদের প্রতিপক্ষ ইংলিশ জায়ান্ট ও একবারের ক্লাব বিশ্বকাপ জয়ী চেলসি, যারা চার বছর পর এই বছর কনফারেন্স লিগ জিতে মেজর ট্রফির স্বাদ পেয়েছে।

ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এই টুর্নামেন্টটি এবার প্রথমবার নতুন ফরম্যাটে ৩২টি দল নিয়ে বিশাল আয়োজনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পুরোনো ফরম্যাটে আটটি দল নিয়ে খেলা হতো। চেলসি পুরোনো ফরম্যাটে দুইবার ফাইনাল খেলেছে—২০১২ সালে হতাশা নিয়ে ফিরলেও ২০২১ সালে ব্রাজিলের পালমেইরাসকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়। অন্যদিকে, পিএসজি এবারই প্রথমবার ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে। আজ রোববার দিবাগত রাত ১টায় (বাংলাদেশ সময়) নিউজার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে পিএসজি ও চেলসির মধ্যে মহারণ অনুষ্ঠিত হবে। এই ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। চলমান টুর্নামেন্টে অতিরিক্ত গরম, প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে খেলায় বিঘ্ন, টিকিটের মাত্রাতিরিক্ত দাম এবং দর্শকখরা নিয়ে সমালোচনা হলেও মাঠের খেলা ফুটবলভক্তদের হতাশ করেনি। পিএসজি ও চেলসি সর্বশেষ ২০১৬ সালে মুখোমুখি হয়েছিল। লন্ডনে অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচে জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ ও আন্দ্রে র‌্যাবিও’র গোলে পিএসজি ২-১ গোলে জয় পায়। চেলসির একমাত্র গোলটি করেন দিয়েগো কস্তা। সেই ম্যাচ ছিল উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বের সেকেন্ড লেগ, যেখানে অ্যাগ্রিগেটে ৪-২ গোলে জিতে পিএসজি পরের রাউন্ডে উঠে। দুই দল এখন পর্যন্ত আটবার মুখোমুখি হয়েছে। পিএসজি তিনবার এবং চেলসি দুইবার জয় পেয়েছে, বাকি তিনটি ম্যাচ ড্র হয়েছে। সর্বশেষ চারবারের দেখায় চেলসি জয়হীন, পিএসজি দুটি ম্যাচ জিতেছে এবং দুটি ড্র হয়েছে। মৌসুমজুড়ে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা পিএসজি ক্লাব বিশ্বকাপেও অপ্রতিরোধ্য। গ্রুপ পর্বে কেবল বোটাফোগোর কাছে ১-০ গোলে হারলেও বাকি সব ম্যাচে দমদমে পারফরম্যান্স দেখিয়েছে দেম্বেলে, রুইজ ও হাকিমিরা। ফাইনালে উঠতে তারা ফেভারিট রিয়াল মাদ্রিদকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করে। এর আগে লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামি ও বায়ার্ন মিউনিখের ওপর আধিপত্য দেখিয়ে পিএসজি আরেকটি মেজর ট্রফি জয়ের পথে এগিয়েছে। পিএসজি কোচ লুইস এনরিকে বলেন, “দলের সাফল্যের মূল নায়ক খেলোয়াড়রা। আমি কোনো তারকা নই, যা করি তা ভালোবাসি। কঠিন সময়ে কাজ উপভোগ করি। জয়ের সবচেয়ে ভালো দিক হলো আমাদের সমর্থকদের খুশি করা। সমালোচিত হলে আমি আরও ভালো কাজ করতে পারি। আমরা বিশেষ মৌসুম কাটাচ্ছি, চেলসির চেয়ে ভালো দল হতে আরও এক ধাপ বাকি।” অন্যদিকে, টুর্নামেন্টের আগে ফেভারিট না হলেও বেনফিকা, পালমেইরাস ও ফ্লুমিনেন্সকে হারিয়ে চেলসি তাদের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছে। তবে পিএসজির বিপক্ষে তাদের কঠিন পরীক্ষা অপেক্ষা করছে। চেলসি কোচ এনজো মারেসকা বলেন, “এটি দারুণ অর্জন। প্রিমিয়ার লিগে শীর্ষ চারে, কনফারেন্স লিগ জয়ের পর এখন আরেকটি ফাইনালে। আমরা খুব খুশি। আশা করি মৌসুমের শেষ ম্যাচে এই ট্রফিটিও জিতব।”
লিটনের ফিফটিতে বড় সংগ্রহ বাংলাদেশের

লিটনের ফিফটিতে বড় সংগ্রহ বাংলাদেশের


ঢাকা, ১৩ জুলাই ২০২৫: প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটিং ব্যর্থতায় হারের মুখ দেখেছিল বাংলাদেশ। তবে আজ দ্বিতীয় ম্যাচে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দলটি। লিটন দাস ও শামীম হোসেনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে মিডল অর্ডারের প্রাণবন্ত প্রদর্শনের সুবাদে বড় পুঁজি পেয়েছে বাংলাদেশ।

টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেন লিটন দাস। এছাড়া শামীম হোসেন অপরাজিত থেকে করেন ৪৮ রান। ইনিংসের শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। রানের খাতা খোলার আগেই তিন বলে শূন্য রানে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। পরের ওভারে আরেক ওপেনার তানজিদ তামিমও ফিরে যান। বিনুরা ফার্নান্দোর অফ স্টাম্পের সামান্য বাইরের গুড লেংথের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে ব্যর্থ হন তামিম। বল তার ব্যাটে ঠিকঠাক লাগেনি, এবং শর্ট থার্ডম্যানে দাঁড়ানো কুশাল পেরেরা দারুণ একটি ক্যাচ নেন। ৮ বলে ৫ রান করেন তিনি। চার নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে দলের হাল ধরেন তাওহীদ হৃদয়। লিটনের সঙ্গে তার ৬৯ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। তবে ২৫ বলে ৩১ রান করে হৃদয় ফিরলে ভাঙে এই জুটি। সাম্প্রতিক সময়ে সাদা বলের ক্রিকেটে ব্যাট হাতে ধারাবাহিক ব্যর্থতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন লিটন দাস। এমনকি তার একাদশে অন্তর্ভুক্তি নিয়েও প্রশ্ন উঠছিল। অবশেষে রানের দেখা পেলেন তিনি। তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে দলের হাল ধরেন। মাত্র ৭ রানে দুই উইকেট হারানোর পরও ইতিবাচক ব্যাটিংয়ে দলকে এগিয়ে নেন লিটন। ৩৯ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি পূর্ণ করেন। ১৩ ইনিংস পর টি-টোয়ទোয়েন্টি ফরম্যাটে ফিফটির মুখ দেখেন তিনি। সবমিলিয়ে ৫০ বলে ৭৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন লিটন। পাঁচ নম্বরে নেমে ব্যর্থ হন মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে লোয়ার মিডল অর্ডারে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন শামীম হোসেন। ২৭ বলে ৪৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি। এর ফলে বড় সংগ্রহ গড়তে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।
১৩ ইনিংস পর লিটনের ফিফটি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৭৭/৭ (২০)

১৩ ইনিংস পর লিটনের ফিফটি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৭৭/৭ (২০)


ঢাকা, ১৩ জুলাই ২০২৫: সাম্প্রতিক সময়ে সাদা বলের ক্রিকেটে ব্যাট হাতে ধারাবাহিক ব্যর্থতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন লিটন দাস। এমনকি তার একাদশে অন্তর্ভুক্তি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। অবশেষে রানের দেখা পেলেন এই ডানহাতি ব্যাটার। ১৩ ইনিংস পর ওয়ানডে ফরম্যাটে ফিফটির মুখ দেখলেন লিটন।

দুই ওপেনারের ব্যর্থতার দিনে দুর্দান্ত ব্যাটিং উপহার দিয়েছেন লিটন দাস। তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে দলের হাল ধরেন তিনি। মাত্র ৭ রানে দুই উইকেট হারানোর পরও ইতিবাচক ব্যাটিংয়ে দলকে এগিয়ে নিয়েছেন তিনি। ৩৯ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি পূর্ণ করেন লিটন। ২০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রান। টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ মোটেও ভালো শুরু করতে পারেনি। ইনিংসের প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফিরে যান ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। রানের খাতা খোলার আগেই তিন বলে শূন্য রানে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। পরের ওভারে আরেক ওপেনার তানজিদ তামিমও ফিরে যান। বিনুরা ফার্নান্দোর অফ স্টাম্পের সামান্য বাইরের গুড লেংথের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে ব্যর্থ হন তামিম। বল তার ব্যাটে ঠিকঠাক লাগেনি, এবং শর্ট থার্ডম্যানে দাঁড়ানো কুশাল পেরেরা দারুণ একটি ক্যাচ নেন। ৮ বলে ৫ রান করেন এই ওপেনার। চার নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে দলের হাল ধরেন তাওহীদ হৃদয়। লিটনের সঙ্গে তার ৬৯ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। তবে ২৫ বলে ৩১ রান করে হৃদয় ফিরলে ভাঙে এই জুটি।