বুধবার, ১৬ জুলাই, ২০২৫

শান্তি মারডির রোল মডেল ঋতুপর্ণা


সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী ফুটবল টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ-ভুটান ম্যাচ ছিল ঘটনাবহুল। নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও হ্যাটট্রিক করে বাংলাদেশকে জয় এনে দিয়েছেন শান্তি মারডি।

কিংস অ্যারেনার অনুশীলন মাঠে দ্বিতীয়ার্ধের খেলা হওয়ায় আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নি। হ্যাটট্রিক করা শান্তি মারডিকে নিয়ে গণমাধ্যমের আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। তবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শান্তিকে সরাসরি গণমাধ্যমের সামনে আনেনি এবং তার বক্তব্যও সরাসরি মিডিয়ায় সরবরাহ করেনি। বাফুফের ফেসবুক পেজে শান্তি মারডির প্রতিক্রিয়া প্রকাশিত হয়েছে।

বাংলাদেশের নারী ফুটবলে এখন সবচেয়ে আলোচিত নাম ঋতুপর্ণা চাকমা। সাফ অনূর্ধ্ব-২০ দলের হ্যাটট্রিক গোলদাতা শান্তি মারডি তার রোল মডেল হিসেবে ঋতুপর্ণাকে উল্লেখ করেছেন। শান্তির ভবিষ্যৎ লক্ষ্য ঋতুপর্ণার মতোই, ‘অনেক বড় খেলোয়াড় হতে চাই।’ তার প্রিয় ফুটবলার সারা বিশ্বের মধ্যে লিওনেল মেসি।

শান্তি মারডি নামটি একটু ব্যতিক্রমী। বাফুফের ফেসবুক পেজে তিনি জানিয়েছেন, তার বাবা এই নাম রেখেছেন। তার পরিবারে দুই ভাই, দুই বোন, বাবা-মা এবং দাদী রয়েছেন। তার বাবা কৃষি কাজের সঙ্গে জড়িত। হ্যাটট্রিক নিয়ে শান্তির প্রতিক্রিয়া, ‘অনেক খুশি হয়েছি হ্যাটট্রিক করতে পেরে। সর্বপ্রথম ধন্যবাদ জানাই সৃষ্টিকর্তাকে।’

মেয়ের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর শান্তি তার বাবার কাছ থেকে ফোন পেয়েছেন। তবে তার বাবা হ্যাটট্রিকের মুহূর্ত দেখতে পারেননি। শান্তি বলেন, ‘বাবা খেলার হাফ টাইমের আগে ফোন করে বলেছেন ভালো খেলছি। তবে পরে আর খেলা দেখতে পারেননি।’

শান্তি তার ফুটবলার হওয়ার গল্প জানিয়েছেন এভাবে, ‘আমার ফুটবল শুরু জেলা পর্যায়ে প্রাইমারি লেভেলের খেলা দিয়ে। লাইজু স্যার ও বিপুল স্যারের অবদান রয়েছে।’ বাফুফের ক্যাম্পে আসার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিকেএসপিতে একটি টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছিলাম। সেখানে অনন্যা ম্যাডাম ও লিটু স্যার ছিলেন। তাদের মাধ্যমে বাফুফের ক্যাম্পে আসা হয়।’


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.