রেসলিং লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
রেসলিং লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

শুক্রবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৫

অষ্টম হিরোজ তায়কোয়ান্দো আন্তর্জাতিক চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশকে ৩৬ পদকসহ সাফল্য

অষ্টম হিরোজ তায়কোয়ান্দো আন্তর্জাতিক চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশকে ৩৬ পদকসহ সাফল্য

বাংলাদেশের তায়কোয়ান্দো দল অষ্টম হিরোজ তায়কোয়ান্দো আন্তর্জাতিক চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৫-এ দুর্দান্ত সাফল্য অর্জন করেছে। ৯-১০ আগস্ট থাইল্যান্ডের পাতায়ার ইস্টার্ন ন্যাশনাল স্পোর্টস ট্রেনিং সেন্টারে অনুষ্ঠিত এই টুর্নামেন্টে ২৭টি দেশের ৪ হাজারের বেশি প্রতিযোগীর সঙ্গে লড়াই করে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা ৩৬টি পদক জয় করেছে।

টি-১ (টিয়ার ১) র‍্যাংকিং টুর্নামেন্টে অংশ নেয় বিশ্বের শীর্ষ তায়কোয়ান্দো দলগুলো, যার মধ্যে ছিল জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।

বাংলাদেশের ২৯ সদস্যের দল অসাধারণ দক্ষতা, শৃঙ্খলা এবং স্পোর্টসম্যানশিপের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের হারিয়ে ১২টি স্বর্ণ, ৯টি রৌপ্য এবং ১৫টি ব্রোঞ্জ পদক জিতেছে। এটি বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা তায়কোয়ান্দো সাফল্য হিসেবে ধরা হচ্ছে।

সবচেয়ে বেশি পদক জেতা ক্লাবের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে বনানী তায়কোয়ান্দো ক্লাব। ক্লাবটি একাই জিতেছে ৮টি স্বর্ণ, ৬টি রৌপ্য এবং ৬টি ব্রোঞ্জ—মোট ২০টি পদক। বিশেষভাবে বয়সে ৬-৯ বছরের খুদে ‘টাইগার কাভস’রা এই সাফল্যের মূল কারিগর।

জাতীয় দলে বনানী ক্লাব ছাড়াও অংশ নিয়েছে ডাইনামিক তায়কোয়ান্দো ক্লাব (মিরপুর-১০), চ্যাম্পিয়নস তায়কোয়ান্দো ক্লাব (ধানমন্ডি), বাংলাদেশ তায়কোয়ান্দো ট্রেনিং একাডেমি (উত্তরা) এবং তায়কোয়ান্দো ব্ল্যাক বেল্ট একাডেমি।

মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই, ২০২৫

জাতীয় বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল আজ

জাতীয় বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল আজ

 মোহাম্মদ আলী বক্সিং স্টেডিয়ামে আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে জাতীয় বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। গতকাল মঙ্গলবার একই স্টেডিয়ামে পুরুষ ও নারী বিভাগের সেমিফাইনাল ম্যাচগুলো সম্পন্ন হয়, যেখানে উভয় বিভাগের খেলোয়াড়রা দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাধ্যমে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছেন।

নারী বিভাগের ফাইনালিস্টরা

নারী বিভাগে বিভিন্ন ওজন শ্রেণিতে ফাইনাল নিশ্চিত করেছেন নিম্নলিখিত খেলোয়াড়রা:

  • ৪৮ কেজি: সেনাবাহিনীর জান্নাতুল ফেরদৌস এবং আনসারের তানজিলা।

  • ৫০ কেজি: সেনাবাহিনীর কায়মা খাতুন এবং আনসারের রহিমা।

  • ৫২ কেজি: যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ও নরসিংদীর গুডউইল ক্লাবের জিনাত ফেরদৌস এবং আনসারের আফরা খন্দকার।

  • ৫৪ কেজি: সেনাবাহিনীর সীমা এবং আনসারের অইকেরা আক্তার।

  • ৫৭ কেজি: আনসারের শামীমা আক্তার এবং সেনাবাহিনীর বৃষ্টি খাতুন।

  • ৬০ কেজি: আনসারের সাকি আক্তার এবং সেনাবাহিনীর নৌশিন তাসনিম।

পুরুষ বিভাগের ফাইনালিস্টরা

পুরুষ বিভাগে সেমিফাইনালে জয়ী হয়ে ফাইনালে উঠেছেন নিম্নলিখিত খেলোয়াড়রা:

  • ৪৮ কেজি: সেনাবাহিনীর অনিক হাওলাদার এবং আনসারের লিমন।

  • ৫১ কেজি: রাজশাহীর রাসেল কবির এবং সেনাবাহিনীর আরিফুল ইসলাম।

  • ৫৪ কেজি: আনসারের উসব আহমেদ এবং সেনাবাহিনীর রাকিব হোসেন।

  • ৫৭ কেজি: সেনাবাহিনীর রুহিন রেজা।

আজকের ফাইনাল ম্যাচগুলোতে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রত্যাশিত, এবং দর্শকরা উভয় বিভাগের খেলোয়াড়দের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের অপেক্ষায় রয়েছেন।

রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৫

জিনাত ফেরদৌস: বাংলাদেশের বক্সিংয়ে নতুন আশার আলো

জিনাত ফেরদৌস: বাংলাদেশের বক্সিংয়ে নতুন আশার আলো

 যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী জিনাত ফেরদৌস বাংলাদেশের বক্সিংয়ে নতুন সেনসেশন হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। ২০২৩ সালে চীনের হাংজু এশিয়ান গেমসে তিনি প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। জিমন্যাস্টিক্স ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) সহ-সভাপতি শেখ বশির আহমেদ মামুনের মাধ্যমে তার বাংলাদেশের হয়ে খেলার যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে তাকে ঘিরেই দেশের বক্সিংয়ের আশা-ভরসা।

রোববার জাতীয় বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিতে মোহাম্মদ আলী বক্সিং স্টেডিয়ামে এসে জিনাত তার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন এভাবে, “আগামী বছর এসএ গেমস, কমনওয়েলথ গেমস, এবং এশিয়ান গেমস রয়েছে। আমি প্রতিটি আসরে বাংলাদেশের হয়ে পদক জিততে চাই। আমি যখনই কোনো গেমে নামি, জয়ের চেষ্টা করি। বাংলাদেশে খেলার পেছনে মামুন আঙ্কেলের অবদান অনেক। তার প্রতি কৃতজ্ঞতা।”

১৯৮৬ সালে সিউল এশিয়াডে মোশাররফ হোসেন ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন। দীর্ঘদিন পর জিনাত ফেরদৌস বাংলাদেশের বক্সিংয়ে নতুন আশার আলো দেখাচ্ছেন। ৩১ বছর বয়সী এই বক্সার ২৭ বছর বয়সে বক্সিং শুরু করেন এবং এখন তার লক্ষ্য অলিম্পিক গেমসেও বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করা। ২০২৩ সালে হাংজুতে ৫০ কেজি ওজন শ্রেণিতে তিনি প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে মঙ্গোলিয়ার ইয়েসুগেন ওয়ুনতসেতসেগের কাছে ৫-০ পয়েন্টে পরাজিত হন। তবে তিনি হাল ছাড়েননি। জিনাত বলেন, “বয়স যাই হোক, পরিশ্রম করে সামনের দিকে এগোতে চাই। আমি মনে করি, বাংলাদেশের হয়ে সাফল্য পাওয়ার সুযোগ আছে।”

জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে ৫২ কেজি ওজন শ্রেণিতে লড়ছেন জিনাত। তার এই যাত্রা বাংলাদেশের বক্সিংয়ে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করছে।

শনিবার, ২৬ জুলাই, ২০২৫

প্রবাসী বক্সার জিনাত ফেরদৌসের জাতীয় বক্সিংয়ে অভিষেক

প্রবাসী বক্সার জিনাত ফেরদৌসের জাতীয় বক্সিংয়ে অভিষেক

 বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান প্রবাসী বক্সার জিনাত ফেরদৌস প্রথমবারের মতো জাতীয় বক্সিং প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছেন। আগামীকাল রোববার (২৭ জুলাই) থেকে শুরু হতে যাওয়া ৩১তম জাতীয় সিনিয়র পুরুষ ও ৭ম জাতীয় মহিলা বক্সিং প্রতিযোগিতায় ৫২ কেজি ওজন শ্রেণিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তিনি।

জিনাত ফেরদৌস আমেরিকাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বক্সিং প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক জয়ের গৌরব অর্জন করেছেন। ২০২৩ সালে হাংজু এশিয়ান গেমসে তিনি বাংলাদেশের হয়ে প্রথমবারের মতো প্রতিনিধিত্ব করেন, যা দেশের ক্রীড়াঙ্গনে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছিল।

বাংলাদেশ বক্সিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এমএ কুদ্দুস জিনাতের অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে বলেন, “জিনাত গুডউইল ক্লাবের পক্ষ থেকে জাতীয় প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন। এটি বাংলাদেশে তার প্রথম জাতীয় বক্সিং প্রতিযোগিতা। তার সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক সাফল্যের জন্য আমরা গর্বিত। আগামী ৩০ জুলাই প্রতিযোগিতার সমাপনী দিনে তাকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হবে।”

জিনাত ফেরদৌসের এই অংশগ্রহণ বাংলাদেশের বক্সিংয়ে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে বলে আশা করছে ফেডারেশন। প্রবাসী ক্রীড়াবিদদের মধ্যে হামজা চৌধুরী, ফাহামেদুল ইসলাম, এবং ইমরানুর রহমানের পর জিনাত ফেরদৌস বক্সিংয়ে নতুন চমক হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছেন। এই প্রতিযোগিতা দেশের ক্রীড়াঙ্গনে প্রবাসী ক্রীড়াবিদদের অবদানকে আরও উজ্জ্বল করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই, ২০২৫

হাল্ক হোগানের মৃত্যু: পেশাদার রেসলিংয়ের কিংবদন্তি আর নেই

হাল্ক হোগানের মৃত্যু: পেশাদার রেসলিংয়ের কিংবদন্তি আর নেই

পেশাদার রেসলিংয়ের ইতিহাসে সবচেয়ে প্রভাবশালী ও জনপ্রিয় তারকা টেরি জিন বোলিয়া, যিনি বিশ্বব্যাপী হাল্ক হোগান নামে পরিচিত, ৭১ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) ফ্লোরিডার ক্লিয়ারওয়াটারে তাঁর বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান। খবরটি নিশ্চিত করেছে ওয়ার্ল্ড রেসলিং এন্টারটেইনমেন্ট (ডব্লুডব্লুই)।

ডব্লুডব্লুই এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “ডব্লুডব্লুই হল অব ফেমার হাল্ক হোগানের মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। পপ কালচারের অন্যতম পরিচিত মুখ হোগান ১৯৮০-এর দশকে ডব্লুডব্লুইকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। তাঁর পরিবার, বন্ধু এবং অসংখ্য ভক্তদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছে ডব্লুডব্লুই।”

ক্লিয়ারওয়াটার পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, সকাল ৯:৫১ মিনিটে হোগানের বাড়িতে হার্ট অ্যাটাকের খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। ফায়ার ও রেসকিউ টিম তাঁকে উদ্ধার করে মর্টন প্লান্ট হাসপাতালে নিয়ে যায়, যেখানে সকাল ১১:১৭ মিনিটে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশের মেজর নেট বার্নসাইড এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, “এ ঘটনায় কোনো অপরাধমূলক বা সন্দেহজনক কার্যকলাপের লক্ষণ পাওয়া যায়নি।”

হোগানের ম্যানেজার ক্রিস ভোলো এনবিসি লস অ্যাঞ্জেলেসকে জানান, তিনি পরিবারের সদস্যদের ঘিরে মৃত্যুবরণ করেছেন। হোগানের স্ত্রী স্কাই ডেইলি গত সপ্তাহে সামাজিক মাধ্যমে গুজব অস্বীকার করে বলেছিলেন, তাঁর হৃৎপিণ্ড “শক্তিশালী” এবং তিনি মে মাসে করা একটি ঘাড়ের অস্ত্রোপচার থেকে সেরে উঠছিলেন।

১৯৮০-এর দশকে রেসলিংয়ের ‘সোনালি যুগে’ হাল্ক হোগান ছিলেন পোস্টারবয়। তাঁর বিখ্যাত সংলাপ “সে ইউর প্রেয়ারস অ্যান্ড ইট ইউর ভিটামিনস” এবং বাহুর মাপ নিয়ে দম্ভোক্তি—“২৪ ইঞ্চি পাইথন”—তাঁকে সাধারণ দর্শকের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছিল। তাঁর হলুদ-লাল পোশাক, স্বর্ণকেশী ঘোড়ার নালের মতো গোঁফ এবং “হাল্কামেনিয়া” স্লোগান রেসলিংকে পারিবারিক বিনোদনে রূপান্তরিত করেছিল। ১৯৮৭ সালে রেসলমেনিয়া III-তে অ্যান্ড্রে দ্য জায়ান্টের বিরুদ্ধে তাঁর আইকনিক বডিস্ল্যাম রেসলিংয়ের ইতিহাসে একটি মাইলফলক।

হোগান ১৯৭৭ সালে পেশাদার রেসলিং ক্যারিয়ার শুরু করেন এবং ১৯৮৩ সালে ওয়ার্ল্ড রেসলিং ফেডারেশন (ডব্লুডব্লুএফ, এখন ডব্লুডব্লুই)-এ যোগ দিয়ে বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি প্রথম নয়টি রেসলমেনিয়ার মধ্যে আটটিতে মূল ইভেন্টে অংশ নেন এবং ছয়বার ডব্লুডব্লুই চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেন। ১৯৯৪ সালে ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ রেসলিং (ডব্লিউসিডব্লিউ)-এ যোগ দিয়ে “হলিউড” হাল্ক হোগান হিসেবে নতুন ভিলেন চরিত্রে আবির্ভূত হন এবং নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার (এনডব্লিউও) গঠন করে রেসলিং জগতে নতুন ঢেউ সৃষ্টি করেন।

রিংয়ের বাইরেও হোগান ছিলেন একজন পপ কালচার আইকন। তিনি “রকি III” (১৯৮২) সিনেমায় থান্ডারলিপস চরিত্রে অভিনয় করেন এবং “নো হোল্ডস বার্ড” (১৯৮৯)-এর মতো কয়েকটি সিনেমায় প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন। ২০০৫ সালে তাঁর পরিবার নিয়ে ভিএইচ১-এর রিয়েলিটি শো “হোগান নোজ বেস্ট” দুই মৌসুম ধরে সম্প্রচারিত হয়।

তবে হোগানের জীবনে বিতর্কেরও অভাব ছিল না। ২০১৫ সালে একটি গোপন রেকর্ডিংয়ে তাঁর বর্ণবাদী মন্তব্য প্রকাশিত হওয়ায় ডব্লুডব্লুই তাঁকে হল অব ফেম থেকে বাদ দেয়, যদিও ২০১৮ সালে তাঁকে পুনর্বহাল করা হয়। ২০২৪ সালে রিপাবলিকান ন্যাশনাল কনভেনশনে তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থনে বক্তৃতা দেন, যেখানে তাঁর শার্ট ছিঁড়ে ট্রাম্প-ভ্যান্স ২০২৪ টি-শার্ট প্রকাশ করেন।

হোগানের মৃত্যুতে রেসলিং জগৎ ও পপ কালচারে একটি বড় শূন্যতা তৈরি হয়েছে। তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও রেসলিং কিংবদন্তি রিক ফ্লেয়ার সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, “হাল্ক আমার পাশে ছিলেন রেসলিং ক্যারিয়ারের শুরু থেকে। তিনি অসাধারণ ক্রীড়াবিদ, প্রতিভাবান, বন্ধু এবং পিতা ছিলেন।” সিলভেস্টার স্ট্যালোন, যিনি “রকি III” তে হোগানের সঙ্গে কাজ করেছিলেন, বলেন, “তাঁর অসাধারণ দক্ষতা রকি III-কে বিশেষ করে তুলেছিল। আমার হৃদয় ভেঙে গেছে।”

হোগানের পরিবার তাঁর ইনস্টাগ্রামে এক বিবৃতিতে বলেছে, “আমাদের প্রিয় টেরি বোলিয়া, যিনি হাল্ক হোগান নামে বিশ্বব্যাপী পরিচিত, আজ প্রিয়জনদের ঘিরে মৃত্যুবরণ করেছেন। তাঁর চল্লিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে লাখো ভক্তের জীবনে রেখে যাওয়া স্মৃতি আমাদের সান্ত্বনা দেবে।”

হোগান তাঁর স্ত্রী স্কাই ডেইলি এবং দুই সন্তান ব্রুক ও নিককে রেখে গেছেন। তাঁর অসামান্য ক্যারিয়ার ও বর্ণময় জীবন পেশাদার রেসলিংয়ের ইতিহাসে চিরকাল অমর হয়ে থাকবে।