ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ‘দ্য সান’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের মধ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনার জেরে ব্রাজিলীয় নাগরিকদের জন্য ভিসা জটিলতা তৈরি হতে পারে। এছাড়া, সিএনএন-এর খবরে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্রাজিলীয়দের জন্য ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি বিবেচনা করছেন, যা বিশ্বকাপ চলাকালীনও কার্যকর থাকতে পারে।
এমন পরিস্থিতিতে ব্রাজিলীয় ফুটবলপ্রেমীরা মাঠে উপস্থিত থেকে নেইমার, ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, রদ্রিগো, রাফিনিয়া ও অ্যালিসনের মতো তারকা খেলোয়াড়দের খেলা উপভোগ করতে পারবেন কি না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ব্যাপক অনিশ্চয়তা। অনেক সমর্থককে হয়তো তাদের প্রিয় দলকে টেলিভিশনের পর্দায় বসেই সমর্থন জানাতে হবে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ওয়াশিংটন সফররত কয়েকজন ব্রাজিলীয় সিনেটরকে স্বল্পমেয়াদি ভিসা দেওয়া হয়েছে, যা দুই দেশের সম্পর্কে আরও টানাপড়েন সৃষ্টি করেছে। এছাড়া, চলতি বছরের এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্র ব্রাজিলীয় পণ্যের ওপর শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশে উন্নীত করে, যা বিশ্লেষকদের মতে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে শীতলতা বাড়িয়েছে।
বিশ্বকাপে ব্রাজিলের প্রতি প্রত্যাশা সবসময়ই থাকে আকাশচুম্বী। ২০১৯ সালে কোপা আমেরিকা জয়ের পর আর কোনো বড় শিরোপা না জিতলেও, তারকাখচিত সেলেসাও দলটি এবারের বিশ্বকাপে শিরোপার অন্যতম দাবিদার। তবে সমর্থকদের মাঠে উপস্থিতি না থাকলে দলের মনোবলে প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন ফুটবল বিশ্লেষকরা।
এ বিষয়ে ফিফা এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি। তবে সামাজিক মাধ্যমে ব্রাজিলীয় সমর্থকদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। এক্স-এ কিছু পোস্টে দাবি করা হয়েছে, ফিফা ব্রাজিলের ম্যাচগুলো যুক্তরাষ্ট্রের বদলে কানাডা ও মেক্সিকোতে সরিয়ে নেওয়ার কথা বিবেচনা করছে, যদিও এটি এখনো নিশ্চিত নয়।
বিশ্বকাপের মতো বৈশ্বিক আসরে সমর্থকদের উপস্থিতি ফুটবলের উৎসবমুখর পরিবেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ব্রাজিলীয় সমর্থকদের উৎসাহ ও রঙিন উপস্থিতি ছাড়া এই আসরের আমেজ কিছুটা ম্লান হয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন ফুটবলপ্রেমীরা।