তৃষ্ণার জোড়া গোলে ভুটানকে আবারও হারাল বাংলাদেশ: সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে শিরোপার পথে এগিয়ে
সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে ভুটানকে ৩-০ গোলে পরাজিত করেছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই ২০২৫) ঢাকার বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে স্বাগতিকদের হয়ে দুটি গোল করেন তৃষ্ণা রানী, এবং একটি গোল আসে স্বপ্না রানীর পা থেকে। এই জয়ে বাংলাদেশ চার দলের টুর্নামেন্টে ৪ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে, যা তাদের শিরোপা জয়ের সম্ভাবনাকে আরও উজ্জ্বল করেছে।ম্যাচে বাংলাদেশের কোচ পিটার বাটলার তরুণ খেলোয়াড়দের নিয়ে একাদশ সাজিয়েছিলেন। প্রথমার্ধে একাধিক সুযোগ সৃষ্টি হলেও গোল পেতে বাংলাদেশকে ৩৩ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। তৃষ্ণা রানী এই সময়ে প্রথম গোলটি করেন। এর আগে ১৪ মিনিটে তাঁর একটি শট ভুটানের রক্ষণে আটকে যায়। ১৬ মিনিটে সিনহা জাহান শিখার পাসে শান্তি মার্ডি সুযোগ পেয়েও কারিকুরি করতে গিয়ে তা হাতছাড়া করেন। ২২ মিনিটে তৃষ্ণার আরেকটি প্রচেষ্টা কর্নারে প্রতিহত হয়। ৩০ মিনিটে কোচ বাটলার বন্যা খাতুনকে উঠিয়ে স্বপ্না রানীকে নামান, এবং তিন মিনিট পরেই স্বপ্নার লং পাস থেকে তৃষ্ণা গোল করে বাংলাদেশকে এগিয়ে দেন। বিরতির পর তিন পরিবর্তন করে বাংলাদেশ আক্রমণের ধার বাড়ায়। মুনকি আক্তার, জয়নব বিবি ও উমেলা মারমাকে নামানো হয়। ৬২ মিনিটে ভুটানের এক খেলোয়াড়ের ফাউলের কারণে পাওয়া পেনাল্টি থেকে স্বপ্নার শট পোস্টের পাশ দিয়ে যায়। তবে ৬৬ মিনিটে ভুটানের ডি-বক্সে বলের দখল হারানোর সুযোগে তৃষ্ণা তাঁর দ্বিতীয় গোলটি করেন। ৭৪ মিনিটে স্বপ্না ৩০ গজ দূর থেকে নেওয়া শটে পোস্টে লেগে গোল করেন, যা বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করে। এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ শুরু থেকেই দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৯-১ গোলে, দ্বিতীয় ম্যাচে নেপালকে ৩-২ গোলে, তৃতীয় ম্যাচে ভুটানকে ৪-১ গোলে এবং আজ আবার ভুটানকে ৩-০ গোলে হারিয়ে তারা ১২ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা নেপাল ৪ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে। শ্রীলঙ্কা এখনো জয়হীন, আর ভুটান চার ম্যাচে মাত্র একটি জয় পেয়েছে। আগামী ২১ জুলাই বাংলাদেশ নেপালের মুখোমুখি হবে, যা টুর্নামেন্টের অঘোষিত ফাইনাল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এই ম্যাচে হারলেও বাংলাদেশের শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা থাকবে, তবে নেপালের সঙ্গে পয়েন্ট সমান হলে হেড-টু-হেড ফলাফলের ভিত্তিতে চ্যাম্পিয়ন নির্ধারিত হবে। বাংলাদেশ যদি বাকি দুটি ম্যাচের মধ্যে একটিতে জয় এবং অন্যটিতে ড্র করতে পারে, তাহলে তারা শিরোপা জিতবে। বাংলাদেশের মেয়েরা ঘরের মাঠে সমর্থকদের উৎসাহ নিয়ে শিরোপা ধরে রাখার লক্ষ্যে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।