মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই, ২০২৫

বাংলাদেশ দল আমার বাপ-দাদার সম্পত্তি নয়: সালাহউদ্দীন


গত বছরের নভেম্বরে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সিনিয়র সহকারী কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেন মোহাম্মদ সালাহউদ্দীন। এর আগে ঘরোয়া ক্রিকেটে কোচ হিসেবে তাঁর সাফল্য ছিল উল্লেখযোগ্য। জাতীয় দলের দায়িত্বে তাঁকে দেখার আগ্রহও ছিল দীর্ঘদিনের। তবে দায়িত্ব নেওয়ার কিছুদিন পর ব্যাটিং কোচ ডেভিড হেম্পকে সরিয়ে দেওয়া হয়, এবং গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকে সালাহউদ্দীন ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব পান।

সম্প্রতি দলের টানা ব্যর্থতা এবং ব্যাটসম্যানদের দুর্বল পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নতুন ব্যাটিং কোচ নিয়োগের বিষয়ও আলোচনায় এসেছে। এ বিষয়ে আজ কলম্বোতে এক সংবাদ সম্মেলনে সালাহউদ্দীন বলেন, ‘আমি কোচ। আমাকে যদি অনূর্ধ্ব-১৩ দলেও কোচিং করতে বলা হয়, আমি কিছু মনে করব না। আমার কাছে এটা লেখা নেই যে আমি শুধু জাতীয় দলের কোচ। এ নিয়ে আমার কোনো ইগোর সমস্যা নেই। কেউ যদি নতুন ব্যাটিং কোচ হিসেবে আসে, তাতে দলের ভালো হোক, এটাই চাই।’ তবে তিনি তাঁর মনের অভিমানও প্রকাশ করেন, ‘বাংলাদেশ দল আমার বাপ-দাদার সম্পত্তি নয়। ভালো না করলে সমালোচনা হবেই, এটা আমাকে মেনে নিতে হবে। ভালো করলে সবাই বাহবা দেবে। আমি আমার দলের জন্য শতভাগ দিচ্ছি কি না, সৎ কি না, এটাই আমার কাছে মুখ্য।’ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজে হার এবং এর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে টানা পাঁচ টি-টোয়েন্টি হারের পর দলের খারাপ সময়ে সালাহউদ্দীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। বলা হচ্ছে, একাদশ গঠন ও দলের বিভিন্ন সিদ্ধান্তে তাঁর প্রভাব রয়েছে। এসব অভিযোগের প্রমাণ চেয়ে সালাহউদ্দীন বলেন, ‘২৭-২৮ বছর কোচিং করার পর শুনছি, দল নিয়ে অনেক অভিযোগ। এগুলো লিখে প্রমাণ দিলে ভালো হতো। প্রমাণ দিলে আমার জন্য ভালো হতো। যদি ভুল করে থাকি, তাহলে শোধরাব। আমি জানি আমি কী। আমি ভালো কোচ না-ও হতে পারি। আমি যদি ভালো না হই, বোর্ড আমাকে সরিয়ে দিক, কোনো সমস্যা নেই। কেউ সৎ কি অসৎ, তা জেনে লেখা উচিত।’ জাতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়ার আগে সালাহউদ্দীন বিপিএলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের প্রধান কোচ ছিলেন এবং ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ও মাস্কো-সাকিব ক্রিকেট একাডেমিতে কাজ করতেন। জাতীয় দল থেকে সরিয়ে দিলে অন্য কাজ করবেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি মানসিকভাবে অনেক শক্ত। আমার এমন নয় যে এখানে চাকরি করতেই হবে। আমার অনেক কিছু করার আছে। আমি নিজের ইচ্ছায় এখানে আসিনি। আমি চাকরি চাইনি, এখানে চাকরি দেন—এমন কিছুই নয়।’

Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.