ভারতের ঘরোয়া ফুটবলের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও গ্ল্যামারাস লিগ ইন্ডিয়ান সুপার লিগ (আইএসএল) আপাতত স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আয়োজক সংস্থা ফুটবল স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড (এফএসডিএল)। আসন্ন ২০২৫-২৬ মৌসুম মাঠে গড়ানো নিয়ে তৈরি হয়েছে ঘোর অনিশ্চয়তা।শুক্রবার (১১ জুলাই) আইএসএলে অংশগ্রহণকারী ক্লাবগুলোকে চিঠি পাঠিয়ে এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে এফএসডিএল। একই সঙ্গে ভারতের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকেও (এআইএফএফ) এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে।
চিঠিতে এফএসডিএল জানিয়েছে, তাদের সঙ্গে এআইএফএফের মাস্টার্স রাইটস এগ্রিমেন্ট (এমআরএ) আগামী ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫-এ শেষ হচ্ছে। এর ফলে সেপ্টেম্বরে আইএসএল শুরু হলেও, আসরের এক-তৃতীয়াংশ সময়ের মধ্যেই চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। নতুন চুক্তি সই নিয়ে বেশ কয়েক মাস ধরে আলোচনা চললেও কোনো সমাধানে পৌঁছানো যায়নি। ফলে বর্তমান পরিস্থিতিতে ডিসেম্বরের পর চুক্তি না থাকায় ২০২৫-২৬ মৌসুমের আইএসএলের পরিকল্পনা, আয়োজন বা বাণিজ্যিকীকরণে এগোতে রাজি নয় এফএসডিএল।
চিঠিতে এফএসডিএল আরও উল্লেখ করেছে, 'এই পরিস্থিতিতে আমরা ২০২৫-২৬ মৌসুম নিয়ে কাজ করার মতো অবস্থানে নেই। যতক্ষণ না নতুন চুক্তি নিয়ে স্পষ্ট কোনো দিশা পাওয়া যাচ্ছে, ততক্ষণ এই আসর স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।'
২০১০ সালে এআইএফএফের সঙ্গে ১৫ বছরের জন্য চুক্তি সই করেছিল এফএসডিএল। এই চুক্তির মাধ্যমে ফেডারেশন প্রতি বছর ৫০ কোটি টাকা পেয়ে থাকে, যা তাদের দৈনন্দিন খরচ এবং বিভিন্ন লিগ আয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনার কারণে বর্তমানে এমআরএ সই করতে পারছে না এআইএফএফ। ফেডারেশনের সংবিধান চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া স্থগিত থাকবে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে একটি নতুন কমিটিও গঠন করা হতে পারে, যারা এফএসডিএলের সঙ্গে চুক্তি সইয়ের দায়িত্ব পালন করবে। তবে এই প্রক্রিয়ায় বেশ সময় লাগতে পারে।
এই ঘোষণার ফলে ভারতীয় ফুটবলের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। আইএসএলের স্থগিত হওয়ার সিদ্ধান্ত কেবল ফুটবলার ও ক্লাব মালিকদের জন্যই নয়, পুরো ফুটবল শিল্পের জন্যই বড় ধরনের ধাক্কা। এই লিগের সঙ্গে যুক্ত অসংখ্য যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থানও এখন হুমকির মুখে।[
এদিকে, কিছু ক্লাব ইতিমধ্যেই প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতি এবং নতুন খেলোয়াড় সইয়ের কার্যক্রম স্থগিত করেছে। এমনকি ডুরান্ড কাপের মতো টুর্নামেন্টের সূচিও এর প্রভাবে বিঘ্নিত হতে পারে। ভারতীয় ফুটবলের এই অচলাবস্থা কাটাতে এফএসডিএল এবং এআইএফএফের মধ্যে দ্রুত সমঝোতার প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫
Author: DhakaGate Desk
Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.
এ সম্পর্কিত আরও খবর
- ব্লগার মন্তব্
- ফেইসবুক মন্তব্য