রবিবার, ৬ জুলাই, ২০২৫

শরফুদ্দৌলা সৈকত অসাধারণ’, আম্পায়ারিংয়ে প্রশংসার জোয়ারে হার্শা ভোগলে

এজবাস্টনে ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যে অনুষ্ঠিত অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফির দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশি আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকতের দুর্দান্ত আম্পায়ারিংয়ের জন্য প্রশংসায় ভাসছেন খ্যাতিমান ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার ও বিশ্লেষক হার্শা ভোগলে।

রোববার ভারত ৩৩৬ রানের বিশাল জয়ে সিরিজে ১-১ সমতা ফেরায়। পাঁচ দিনব্যাপী এই টেস্টে সৈকতের সিদ্ধান্ত ছিল অত্যন্ত ধারাবাহিক এবং নির্ভুল। আইসিসির এলিট আম্পায়ার প্যানেলের প্রথম ও একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে সৈকত এই ম্যাচে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। তাঁর দেওয়া ১০টি সিদ্ধান্ত রিভিউ করা হলেও মাত্র ২টি বদলাতে হয়, অর্থাৎ তাঁর সঠিক সিদ্ধান্তের হার ছিল ৮০ শতাংশ।

এই টেস্টে সৈকতের সঙ্গে ফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন নিউজিল্যান্ডের ক্রিস গ্র্যাফানি। তিনিও দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন। গ্র্যাফানির ৫টি সিদ্ধান্ত রিভিউ করা হলে মাত্র একটি বদলানো হয়। ম্যাচ শেষে হার্শা ভোগলে তার এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “এই ম্যাচে আম্পায়ারিং ছিল অসাধারণ। ক্রিস গ্র্যাফানির কাছ থেকে উচ্চমানের পারফরম্যান্স আশা করা যায়ই, কিন্তু শরফুদ্দৌলা সৈকত ছিলেন দুর্দান্ত।” সৈকতের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্ত ছিল ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকসের আউট। ভারতের জয়ের পথে স্টোকস ছিলেন বড় বাধা। ওয়াশিংটন সুন্দরের বলে স্টোকসের বিরুদ্ধে জোরালো এলবিডব্লিউর আবেদনে সৈকত আউট দেন। তখন সন্দেহ ছিল, বল আগে ব্যাটে না প্যাডে লেগেছে। খালি চোখে এটি বোঝা ছিল কঠিন। স্টোকস রিভিউ নিলেও রিপ্লেতে দেখা যায়, বল আগে প্যাডে লেগেছে এবং বল ট্র্যাকিং অনুযায়ী ইম্প্যাক্ট ইন লাইন ও উইকেট হিটিং। ফলে সৈকতের সিদ্ধান্ত বহাল থাকে। এমন সূক্ষ্ম সিদ্ধান্ত নির্ভুলভাবে দেওয়ায় সৈকত ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন। ৪৮ বছর বয়সী শরফুদ্দৌলা আগামী ১০ জুলাই থেকে লর্ডসে শুরু হতে যাওয়া সিরিজের তৃতীয় টেস্টেও অন-ফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
সৈকতের এই অসাধারণ পারফরম্যান্স বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে একটি উজ্জ্বল মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.