বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) নির্বাচন আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু তার পাঁচ মাস আগেই নানা নেতিবাচক খবরে নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক ছড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিওএ। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই ২০২৫) বিওএর মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এবিএম শেফাউল কবীরের সই করা এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, দেশের খেলাধুলার উন্নয়নের লক্ষ্যে বিওএ গঠনতন্ত্র অনুযায়ী একটি নির্বাচিত কমিটি দ্বারা পরিচালিত হয়। এই কমিটির সদস্যরা চার বছরের জন্য নির্বাচিত হন এবং গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাদের মেয়াদ আগামী ডিসেম্বরে শেষ হবে। কমিটির সবাই নির্বাচিত হওয়ায় ফেডারেশনের প্রতিনিধিত্ব না থাকলেও এটিকে অবৈধ বলার কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। নির্ধারিত সময়েই তারা দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন।
তিনি আরও লিখেছেন, “বিওএ কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর স্বার্থে কাজ করে না। আমাদের কর্মসূচি বাস্তবায়নে কোনো ভুল বা অসঙ্গতি থাকলে তার সমালোচনা হতে পারে এবং আমরা তা গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করি। কিন্তু ভিত্তিহীন ও নেতিবাচক সমালোচনা বা সংবাদ আমাদের আশাহত করে। এটি খেলাধুলার উন্নয়নের মহৎ কাজে জড়িত সকলের উৎসাহ কিছুটা হলেও হ্রাস করে।”
সংশ্লিষ্ট সূত্রের মতে, এ ধরনের সংবাদ পরিবেশনের ফলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এছাড়া, একটি মহল নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে এবং আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির (আইওসি) কাছে বাংলাদেশকে নিষিদ্ধ করার পাঁয়তারা করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।