ক্রীড়াবিদদের পেশাদার জীবনের বাইরে তাঁদের ব্যক্তিগত জীবন, জীবনযাপন ও কার্যকলাপ নিয়ে ভক্ত-সমর্থকদের কৌতূহলের শেষ নেই। বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যেমন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও এক্স এই কৌতূহল মেটানোর বড় মাধ্যম। এসব প্ল্যাটফর্মে অনুসারীর সংখ্যা দেখে একজন ক্রীড়াবিদের জনপ্রিয়তা ও তাঁকে ঘিরে মানুষের আগ্রহের মাত্রা বোঝা যায়। বাংলাদেশের তারকা ক্রীড়াবিদরাও ভক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকেই বেছে নিচ্ছেন। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও এক্সে অনুসারীর সংখ্যার ভিত্তিতে বাংলাদেশের শীর্ষ ১০ ক্রীড়াবিদের তালিকা নিচে দেওয়া হলো।
শীর্ষ ১০ ক্রীড়াবিদ ও তাঁদের অনুসারী সংখ্যা
নারী ক্রীড়াবিদদের মধ্যে শীর্ষে কে?
নারী ক্রীড়াবিদদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অনুসারী রয়েছে ক্রিকেটার জাহানারা আলমের। ৩২ বছর বয়সী এই পেসার জাতীয় দলে জায়গা হারানোর পর অস্ট্রেলিয়ায় চলে গেছেন। তাঁর অনুসারী সংখ্যা ২৭ লাখ ২২ হাজার। এরপর রয়েছেন নারী ফুটবলের ‘পোস্টার গার্ল’ ঋতুপর্ণা চাকমা, যিনি গত বছর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ও সম্প্রতি এএফসি এশিয়ান কাপে বাংলাদেশের সাফল্যে বড় ভূমিকা রেখেছেন। তাঁর অনুসারী ৮ লাখ ৮৫ হাজার। নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানার অনুসারী ৫ লাখ ৫৬ হাজার। এ ছাড়া সানজিদা আক্তারের অনুসারী ৭ লাখ ৫৮ হাজার এবং সাবেক অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের অনুসারী ১ লাখ ৯২ হাজার।
উল্লেখযোগ্য অন্যরা
পুরুষ ক্রীড়াবিদদের মধ্যে টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক লিটন দাসের অনুসারী ২৭ লাখ ২৫ হাজার, যা জাহানারার চেয়ে মাত্র ৩ হাজার বেশি। এ ছাড়া দেশের সাবেক দ্রুততম মানব ইমরানুর রহমানের অনুসারী ১ লাখ ৪৫ হাজার। ফুটবলার হামজা চৌধুরী, যিনি ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপের ক্লাব লেস্টার সিটিতে খেলেন, তাঁর অনুসারী ২৩ লাখ ৫৬ হাজার। তিনি তালিকায় ১৩ নম্বরে রয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্রিকেটের আধিপত্য
হামজা চৌধুরী, শমিত সোম, ফাহামিদুল ইসলামদের মতো প্রবাসী ফুটবলারদের জাতীয় দলে অভিষেকের পর ফুটবল নিয়ে উন্মাদনা বাড়লেও, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জনপ্রিয়তায় ক্রিকেটাররা অনেক এগিয়ে। শীর্ষ দশের নয়জনই ক্রিকেটার, একমাত্র ব্যতিক্রম জামাল ভূঁইয়া।
ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টের বিষয়
লক্ষণীয় যে, শীর্ষ ক্রীড়াবিদদের ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম পেজ সবই স্বীকৃত বা ভেরিফায়েড (ব্লু ব্যাজযুক্ত)। তবে বেশির ভাগের এক্স অ্যাকাউন্ট ভেরিফায়েড নয়। যাঁদের এক্স অ্যাকাউন্টে ব্লু ব্যাজ নেই, তাঁদের অনুসারী সংখ্যা এই হিসাবের বাইরে রাখা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশের ক্রীড়াবিদদের এই বিপুল অনুসারী সংখ্যা প্রমাণ করে, ক্রীড়াঙ্গনে তাঁদের প্রভাব ও জনপ্রিয়তা কতটা গভীর। তবে ক্রিকেটের আধিপত্যের পাশাপাশি ফুটবল ও নারী ক্রীড়াবিদদের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা দেশের ক্রীড়া জগতে নতুন সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিচ্ছে।