ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে জাকের আলী বলেন, ‘আমি কেবল ম্যাচ জেতানো রানকেই গুরুত্ব দিই। বাকি রান আমার মনে থাকে না।’ বাংলাদেশ যখন ২৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল, তখন জাকের ও মেহেদী হাসানের জুটি দলকে এনে দেয় স্বস্তি। দুজন মিলে ৫৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন। মেহেদী ২৫ বলে ৩৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে আক্রমণাত্মক ভূমিকা নেন, আর জাকের খেলেন ঠান্ডা মাথায়।
জাকের আরো বলেন, ‘খেলার আগে আমি ভেবেছিলাম উইকেট ১৫৫-১৬০ রানের। কিন্তু লিটন ভাই বললেন, ১৪০-এ লক্ষ্য রাখো। ওটাই মাথায় রেখে ব্যাটিং করেছি। শেষ বলে ছক্কা মারলে ঠিক ১৪০ হতো।’
যদিও তিনি এই ম্যাচে পাঁচ নম্বরে ব্যাট করেছেন, তবে জাকের জানান, টেল এন্ডারদের সঙ্গে ব্যাটিং তার চেনা পরিবেশ। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে এমন পরিস্থিতিতে খেলা তার জন্য নতুন কিছু নয়। 'আমি সবসময় সাত নম্বরে ব্যাট করেছি বয়সভিত্তিক পর্যায়ে। তাই লোয়ার অর্ডারের সঙ্গে ব্যাটিং আমার চেনা,' বলেন জাকের। তিনি আরও জানান, ‘আমি কেবল অপর প্রান্তের ব্যাটারকে বাঁচিয়ে নিজের কাজটা করে যাওয়ার চেষ্টা করি।’
এছাড়া পাকিস্তান ইনিংসেও একটি দুঃসাহসী লড়াইয়ের গল্প ছিল। ৪৭ রানে ৭ উইকেট হারানো পাকিস্তান হঠাতই ঘুরে দাঁড়ায় ফাহিম আশরাফের ব্যাটে। মাত্র ৩২ বলে ৫১ রান করেন তিনি। পরে আফ্রিদি ও দানিয়ালও ম্যাচে রোমাঞ্চ যোগ করেন। তবে বাংলাদেশের বোলাররা শেষ মুহূর্তে ধৈর্য্য ধরে জয়ের বন্দরে পৌঁছান।
জাকের আলী ম্যাচ শেষে ক্রিকেটের আসল সৌন্দর্য তুলে ধরেন, ‘এই তো টি-টোয়েন্টির সৌন্দর্য। প্রতিপক্ষ লড়াই করবেই। আমরা কিছু ভুল করেছি ফিল্ডিংয়ে, তবে শামীমের সেই শেষ ক্যাচটা দেখুন! এভাবেই টাইট ম্যাচ জিততে হয়। শুরুতে ব্যাটিং বিপর্যয়ের পরও আমরা লড়াই করেছি। শেষ পর্যন্ত জয়টাই মুখ্য।’