মঙ্গলবার, ২২ জুলাই, ২০২৫

'জয় এনে দেওয়া রান'—জাকের আলীর মতে, পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয় ছিল মানসিক প্রস্তুতির ফল

 দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে বাংলাদেশে জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান যিনি রেখেছেন, সেই জাকের আলী ম্যাচ শেষে জানালেন, রান নয়, তিনি কেবল ‘জয় এনে দেওয়া রান’-ই গণনা করেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে ৫৫ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতা এই অলরাউন্ডার ম্যাচ শেষে বলেন, এই ইনিংস শুধু রান নয়, এটি তার জন্য এক অর্থপূর্ণ ভূমিকার প্রতিফলন।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে জাকের আলী বলেন, ‘আমি কেবল ম্যাচ জেতানো রানকেই গুরুত্ব দিই। বাকি রান আমার মনে থাকে না।’ বাংলাদেশ যখন ২৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল, তখন জাকের ও মেহেদী হাসানের জুটি দলকে এনে দেয় স্বস্তি। দুজন মিলে ৫৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন। মেহেদী ২৫ বলে ৩৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে আক্রমণাত্মক ভূমিকা নেন, আর জাকের খেলেন ঠান্ডা মাথায়।

জাকের আরো বলেন, ‘খেলার আগে আমি ভেবেছিলাম উইকেট ১৫৫-১৬০ রানের। কিন্তু লিটন ভাই বললেন, ১৪০-এ লক্ষ্য রাখো। ওটাই মাথায় রেখে ব্যাটিং করেছি। শেষ বলে ছক্কা মারলে ঠিক ১৪০ হতো।’

যদিও তিনি এই ম্যাচে পাঁচ নম্বরে ব্যাট করেছেন, তবে জাকের জানান, টেল এন্ডারদের সঙ্গে ব্যাটিং তার চেনা পরিবেশ। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে এমন পরিস্থিতিতে খেলা তার জন্য নতুন কিছু নয়। 'আমি সবসময় সাত নম্বরে ব্যাট করেছি বয়সভিত্তিক পর্যায়ে। তাই লোয়ার অর্ডারের সঙ্গে ব্যাটিং আমার চেনা,' বলেন জাকের। তিনি আরও জানান, ‘আমি কেবল অপর প্রান্তের ব্যাটারকে বাঁচিয়ে নিজের কাজটা করে যাওয়ার চেষ্টা করি।’

এছাড়া পাকিস্তান ইনিংসেও একটি দুঃসাহসী লড়াইয়ের গল্প ছিল। ৪৭ রানে ৭ উইকেট হারানো পাকিস্তান হঠাতই ঘুরে দাঁড়ায় ফাহিম আশরাফের ব্যাটে। মাত্র ৩২ বলে ৫১ রান করেন তিনি। পরে আফ্রিদি ও দানিয়ালও ম্যাচে রোমাঞ্চ যোগ করেন। তবে বাংলাদেশের বোলাররা শেষ মুহূর্তে ধৈর্য্য ধরে জয়ের বন্দরে পৌঁছান।

জাকের আলী ম্যাচ শেষে ক্রিকেটের আসল সৌন্দর্য তুলে ধরেন, ‘এই তো টি-টোয়েন্টির সৌন্দর্য। প্রতিপক্ষ লড়াই করবেই। আমরা কিছু ভুল করেছি ফিল্ডিংয়ে, তবে শামীমের সেই শেষ ক্যাচটা দেখুন! এভাবেই টাইট ম্যাচ জিততে হয়। শুরুতে ব্যাটিং বিপর্যয়ের পরও আমরা লড়াই করেছি। শেষ পর্যন্ত জয়টাই মুখ্য।’


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.