ম্যাচের শুরুতে ইতালি ৩৩তম মিনিটে এগিয়ে যায় বারবারা বোনানসিয়ার দুর্দান্ত গোলে। সোফিয়া ক্যান্টোরের ক্রসে ইংলিশ ডিফেন্ডার লুসি ব্রোঞ্জের ভুলে বল বোনানসিয়ার কাছে চলে যায়, যিনি নিখুঁত ফিনিশিংয়ে গোলটি করেন। ইতালির এই গোল তাদের ১৯৯৭ সালের পর প্রথম ফাইনালে ওঠার স্বপ্নে রঙ ছড়ায়।
ইংল্যান্ড ম্যাচজুড়ে বলের দখল রাখলেও প্রথমার্ধে সুযোগ তৈরিতে ব্যর্থ হয়। লরেন জেমসের দুটি শট ইতালির গোলরক্ষক লরা জুলিয়ানি রুখে দেন, তবে চোটের কারণে তাকে বিরতির পর তুলে নিতে হয়। ৮১তম মিনিটে লুসি ব্রোঞ্জের হেড ক্লিয়ার করে ইতালি। ৮৬তম মিনিটে ইংল্যান্ডের গোলরক্ষক হান্নাহ হ্যাম্পটন দুর্দান্ত ডাবল সেভ করে দলকে ম্যাচে রাখেন, মিকেলা ক্যাম্বিয়াগি ও এমা সেভেরিনির শট ঠেকিয়ে।
ম্যাচের নির্ধারিত সময়ের ৯৬তম মিনিটে, যখন ইংল্যান্ড পরাজয়ের মুখে, বদলি হিসেবে নামা ১৯ বছর বয়সী মিশেল আগিয়েমাং গোল করে দলকে সমতায় ফেরান। লরেন হেম্পের ক্রসে জুলিয়ানির ভুলে বল ফিরে আসে, আর আগিয়েমাং দারুণ কম্পোজারে গোলটি করেন। এর আগে সুইডেনের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালেও তিনি সমতা ফেরানো গোল করেছিলেন।
অতিরিক্ত সময়ে ইংল্যান্ড আক্রমণাত্মক খেলা চালিয়ে যায়। ১১৭তম মিনিটে আগিয়েমাংয়ের দুর্দান্ত লব শট ক্রসবারে লাগে। এরপর ১১৯তম মিনিটে এমা সেভেরিনি বেথ মিডকে ফাউল করলে ইংল্যান্ড পেনাল্টি পায়। ক্লোয়ি কেলির পেনাল্টি শট জুলিয়ানি ঠেকালেও রিবাউন্ডে তিনি গোল করে ইংল্যান্ডকে ফাইনালে তুলে নেন।
ইংল্যান্ডের কোচ সারিনা উইগম্যান আগিয়েমাংয়ের প্রশংসা করে বলেন, “তার মধ্যে বিশেষ কিছু আছে। মাত্র ১৯ বছর বয়সে এমন পরিপক্কতা এবং দক্ষতা অবিশ্বাস্য।” তিনি দলের অদম্য মনোভাবেরও প্রশংসা করেন।
ইতালির জন্য এই পরাজয় হৃদয়বিদারক। ২৮ বছর পর সেমিফাইনালে উঠে তারা দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছিল, কিন্তু শেষ মুহূর্তে হেরে তাদের স্বপ্ন ভেঙে যায়।
ইংল্যান্ড এখন ২৭ জুলাই বাসেলে ফাইনালে মুখোমুখি হবে জার্মানি বা স্পেনের বিপক্ষে, যা হবে ২০২২ সালের ইউরো ফাইনাল বা ২০৩৩ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালের পুনরাবৃত্তি।