উয়েফা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ জানায়, ‘বার্তাটি জোরালো এবং পরিষ্কার। একটি ব্যানার। একটি আহ্বান।’ খেলা শুরুর আগে ফিলিস্তিন, আফগানিস্তান, ইউক্রেন ও ইরাকের নয়জন শিশু এই ব্যানার হাতে মাঠে নামে।
গত সপ্তাহে লিভারপুলের তারকা ফুটবলার মোহাম্মদ সালাহ উয়েফার সংক্ষিপ্ত শ্রদ্ধা জানানোর সমালোচনা করেছিলেন। উয়েফা তাদের পোস্টে সুলেইমানকে উল্লেখ করেছিল ‘একজন প্রতিভা যিনি অন্ধকার সময়েও অসংখ্য শিশুকে আশা দিয়েছিলেন’। কিন্তু সালাহ প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘আপনি কি বলতে পারেন তিনি কীভাবে, কোথায় এবং কেন মারা গেলেন?’
ফিলিস্তিন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, ৪১ বছর বয়সী সাবেক জাতীয় দলের ফুটবলার সুলেইমান আল-ওবেইদ দক্ষিণ গাজায় মানবিক সহায়তার জন্য অপেক্ষারত অবস্থায় ইসরাইলের হামলায় নিহত হন।
ফুটবল ফিলিস্তিনের প্রতিষ্ঠাতা বাসিল মিকদাদি আল জাজিরাকে বলেন, ‘উয়েফা কোনো প্রতিক্রিয়া জানাবে বলে আমার মনে হয় না। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ফুটবল ও খেলোয়াড়দের সংস্থাগুলোর নীরবতা অব্যাহত রয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সুলেইমান আল-ওবেইদ প্রথম ফিলিস্তিনি ফুটবলার নন যিনি এই গণহত্যায় নিহত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত ৪০০ জনেরও বেশি ফুটবলার নিহত হয়েছেন, তবে তিনি সবচেয়ে পরিচিত নাম।’
সালাহ এর আগেও গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের পক্ষে কথা বলেছেন। তবে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, কেন তিনি এত দেরিতে এ বিষয়ে মন্তব্য করলেন।
এই ব্যানার প্রদর্শনের এক দিন আগে উয়েফা ফাউন্ডেশন ফর চিলড্রেন যুদ্ধক্ষেত্রের শিশুদের সহায়তার জন্য নতুন উদ্যোগ ঘোষণা করে। এতে মেডেসিন দ্যু মন্ড, ডাক্তারস উইদাউট বর্ডার্স এবং হ্যান্ডিক্যাপ ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছে তারা। উয়েফা জানায়, এই সংস্থাগুলো গাজার শিশুদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মানবিক সহায়তা প্রদান করছে। এছাড়া আফগানিস্তান, লেবানন, সুদান, সিরিয়া, ইয়েমেন ও ইউক্রেনের সংঘাতপ্রবণ এলাকায়ও শিশুদের জন্য কাজ করছে।