গুরিন্দর চাড্ডা বিবিসি-কে বলেন, “মূল ছবির পর থেকে অনেক কিছুই বদলে গেছে। তবে আমি মনে করি, এখনও অনেকে নারীদের ফুটবল খেলা উচিত বলে মনে করেন না। এখনও এমন মানুষ আছেন যারা নারী ফুটবলকে গুরুত্বের সঙ্গে নেন না।” তিনি আরও যোগ করেন, ইংল্যান্ডের লায়নেসেস দলের ইউরো ২০২৫ জয়ের পর নারী ফুটবলে আগ্রহের বিস্ফোরণ এই সিক্যুয়েলের জন্য সময়টিকে বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক করে তুলেছে।
সিক্যুয়েলটি চলচ্চিত্র হবে নাকি টেলিভিশন সিরিজ, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে চাড্ডা আশা করছেন মূল কাস্টের কিছু সদস্যকে ফিরিয়ে আনতে এবং বর্তমান ইংল্যান্ডের আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়দের ক্যামিও চরিত্রে দেখানোর সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমি বেশ নিশ্চিত যে সবাই ফিরে আসতে চাইবে। সবকিছু নির্ভর করছে স্ক্রিপ্টের ওপর এবং মূল কাস্ট এটি পছন্দ করে কিনা। আমি কঠোর পরিশ্রম করছি যাতে ফিরে আসা প্রতিটি চরিত্রের জন্য একটি শক্তিশালী গল্পের ধারাবাহিকতা থাকে।”
এআই-এর সঙ্গে সহযোগিতায় এই সিক্যুয়েলে নতুন মাত্রা যোগ করার সম্ভাবনাও রয়েছে। যেমন, স্ক্রিপ্ট রচনায় এআই টুল ব্যবহার করে চরিত্রগুলোর গল্পকে আরও সমৃদ্ধ করা বা সমসাময়িক নারী ফুটবলের প্রেক্ষাপটে নতুন ধারণা সংযোজন করা যেতে পারে। এছাড়া, এমা হেইস, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের নারী জাতীয় ফুটবল দলের প্রধান কোচ, এই প্রকল্পে সহযোগিতা করছেন। হেইস বলেন, “বেন্ড ইট লাইক বেকহ্যাম আমার জীবনে বিরাট প্রভাব ফেলেছে। আমি সিনেমা দেখে কেঁদেছিলাম কারণ আমি জেস এবং জুলসের মতো অনুভব করেছি।” তিনি তাঁর অভিজ্ঞতা ও ফুটবলের অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে এই সিক্যুয়েলে অবদান রাখছেন।
ডেভিড বেকহ্যাম এখন আর ইংলিশ ফুটবলের পোস্টার বয় না হলেও, এই গল্পের চেতনা এখনও জীবন্ত। এবার সিক্যুয়েলের নাম কী হবে? ‘বেন্ড ইট লাইক কেলি’? সময়ই বলে দেবে।