শুক্রবার (১ আগস্ট) ওভালে এই জুটি মাত্র ১২.৫ ওভারে ৯২ রান তুলে নেয়, যার রানরেট ছিল ৭.১৬। এটি ভারতের বিপক্ষে পুরুষদের টেস্টে ৫০ বা তার বেশি রানের ওপেনিং জুটির মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানরেট। এর আগে ২০০৫ সালে বেঙ্গালুরুতে পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদি ও ইয়াসির হামিদ ১২.৪ ওভারে ৯১ রান তুলেছিলেন, রানরেট ছিল ৭.১৮। ক্রলি-ডাকেটের এই দ্রুতগতির ব্যাটিং ভারতের বিপক্ষে সেরা ১৫টি ওপেনিং জুটির মধ্যে চারটি রেকর্ড তাঁদের দখলে এনে দিয়েছে।
এই ম্যাচে তাঁরা ৯৮৪ রানের সঙ্গে ভারতের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের ওপেনিং জুটি হিসেবে অ্যালিস্টার কুক ও অ্যান্ড্রু স্ট্রসের ৯৩২ রানের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছেন। এই ১৮ ইনিংসে তাঁদের গড় ৫৪.৬৬, যার মধ্যে দুটি শতরানের জুটি এবং ছয়টি অর্ধশতরানের জুটি রয়েছে। তাঁরা এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের গর্ডন গ্রিনিজ ও ডেসমন্ড হেইন্সের ১৩২৫ রানের (৩০ ইনিংস) রেকর্ডের পেছনে ছুটছেন।
ক্রলি ও ডাকেট ভারতের বিপক্ষে আটটি পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের জুটি গড়ে গ্রিনিজ-হেইন্সের সমানে পৌঁছে গেছেন, যা এই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে সর্বাধিক। এছাড়া, এই সিরিজে তাঁরা ৫৩৯ রান তুলেছেন, যা ২০১৫ সালে ডেভিড ওয়ার্নার ও জো বার্নসের ৫৪৭ রানের পর কোনো ওপেনিং জুটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান। ইংল্যান্ডের হয়ে ২০১০-১১ অ্যাশেজ সিরিজে স্ট্রস-কুক জুটির পর এটিই প্রথম ৫০০-এর বেশি রানের ওপেনিং জুটি।
ক্রলির ৬৪ রানের ইনিংসে ৫৬ রান এসেছে বাউন্ডারি থেকে, যা তাঁর ইনিংসের ৮৭.৫০ শতাংশ। এটি ইংল্যান্ডের হয়ে টেস্টে ৫০-এর বেশি রানের ইনিংসে তৃতীয় সর্বোচ্চ বাউন্ডারির হার, অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ (৮৮.৮৯%) ও ক্রিস ওকস (৮৮%) এর পেছনে। তিনি হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ৪৮ রান বাউন্ডারি থেকে, যা ২০০২ সালের পর টেস্টে হাফসেঞ্চুরির জন্য দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বাউন্ডারি রান, টিম সাউদির ৫০ রানের পর।
এই জুটির আগ্রাসী ব্যাটিং শৈলী এবং রেকর্ড গড়ার ধারাবাহিকতা ইংল্যান্ডের ‘বাজবল’ ক্রিকেটের প্রতীক হয়ে উঠেছে। তাঁদের এই পারফরম্যান্স ভারতীয় বোলারদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে এবং ক্রিকেট বিশ্বে তাঁদের নাম আরও উজ্জ্বল করেছে।