দুর্ঘটনার সময় লরার সঙ্গে ছিলেন তাঁর সহসঙ্গী মারিনা ইভা। দুর্ঘটনার পরপরই ইভা জরুরি সেবায় যোগাযোগ করলে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হয়। প্রায় ৫,৭০০ মিটার উচ্চতায় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞ দল উদ্ধার তৎপরতা শুরু করলেও খারাপ আবহাওয়ার কারণে তা বাধাগ্রস্ত হয়।
লরার ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি জানায়, দুর্ঘটনার দিনই—২৮ জুলাই—সম্ভবত তাঁর মৃত্যু হয়।
লরার মৃত্যুর পর তাঁর অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘লরার স্পষ্ট এবং লিখিত ইচ্ছা ছিল, যদি পর্বতারোহণে তাঁর মৃত্যু ঘটে, তাহলে কাউকে যেন তাঁকে উদ্ধার করতে গিয়ে নিজের জীবন ঝুঁকিতে ফেলতে না হয়। তাঁর শেষ ইচ্ছা ছিল, মৃত্যুর পর তাঁর দেহাবশেষ যেন পর্বতের মাঝেই থেকে যায়।’ তাঁর পরিবারও এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়েছে।
মাত্র ৩১ বছর বয়সী লরা ডালমাইয়ার ছিলেন একাধিক বিশ্বজয়ী অ্যাথলেট। ২০১৮ সালের পিয়ংচ্যাং শীতকালীন অলিম্পিকে জার্মানির হয়ে অংশ নিয়ে জিতেছিলেন দুটি স্বর্ণ ও একটি ব্রোঞ্জ পদক। ইতিহাসের প্রথম নারী হিসেবে তিনি একই অলিম্পিকে স্প্রিন্ট ও পারস্যুট ইভেন্টে সোনা জয়ের বিরল কৃতিত্ব অর্জন করেন।
২০১৯ সালে অবসর নেওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি পাঁচটি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিয়ে জিতেছিলেন ৭টি স্বর্ণসহ মোট ১৫টি পদক।
বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে অনন্য অবদান রেখে যাওয়া লরার এই মর্মান্তিক মৃত্যু ক্রীড়া জগতে শোকের ছায়া ফেলেছে।