ভারতের সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের বরাতে জানা গেছে, টপ অর্ডারে ইতোমধ্যে দুর্দান্ত কিছু খেলোয়াড় থাকায় টেস্ট অধিনায়ক শুবমান গিলকে হয়তো দর্শকের ভূমিকায় থাকতে হবে। একই কারণে দলে থাকছেন না কেএল রাহুল ও যশস্বী জয়সওয়াল। যদিও এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেনি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। দলও এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি।
বিসিসিআই সূত্রে পিটিআই জানিয়েছে, গম্ভীর এবং প্রধান নির্বাচক অজিত আগরকর এশিয়া কাপে খুব বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে চান না। টপ ও মিডল অর্ডারের ব্যাটিং লাইনআপ প্রায় ঠিক হয়ে গেছে। সাম্প্রতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচগুলোতে ওপেনিং করেছেন অভিষেক শর্মা ও সঞ্জু স্যামসন। তিন ও চার নম্বরে খেলেছেন অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব এবং তিলক বর্মা। পাঁচ নম্বরে রয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া।
এই ব্যাটিং অর্ডারে শুবমান, রাহুল বা যশস্বীর জন্য জায়গা খুঁজে পাওয়া কঠিন। বিসিসিআইয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, “অভিষেক বর্তমানে টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বের এক নম্বর ব্যাটার। সঞ্জু উইকেটরক্ষক ও ব্যাটার হিসেবে দুর্দান্ত মৌসুম কাটিয়েছেন। সূর্য অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিলকও নিজেকে প্রমাণ করেছে। তাই শুবমানের জায়গা হচ্ছে না। যশস্বীকেও দলে রাখা কঠিন। এমনকি রাহুলেরও জায়গা পাওয়া মুশকিল। এরা সবাই টপ অর্ডারের ব্যাটার, কিন্তু সেখানে ইতোমধ্যে জায়গা ভর্তি। সবাইকে তো আর খেলানো সম্ভব নয়।”
এ মাসের ১৯ বা ২০ তারিখে এশিয়া কাপের জন্য দল ঘোষণা করতে পারে ভারত। তবে এটি নির্ভর করছে বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির মেডিক্যাল দলের ফিটনেস রিপোর্টের ওপর। প্রত্যেক ক্রিকেটারের ফিটনেস পরীক্ষা করে রিপোর্ট পাঠানো হবে, যার ভিত্তিতে দল চূড়ান্ত করা হবে। তবে টি-টোয়েন্টি দলে খুব বেশি পরিবর্তন আসবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
কোচ গম্ভীর পুরোনো দল নিয়েই এশিয়া কাপ খেলতে চান। তিনি দলে বড় ধরনের কাটছাঁট এড়াতে চান। এখন দেখার বিষয়, কাদের নিয়ে ভারত এশিয়া কাপে শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে নামে।