সোমবার গুলশানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সামির কাদের। তিনি দাবি করেন, বিপিএলকে বিতর্কিত করার পেছনে বিসিবিরই দায় রয়েছে। তিনি বলেন, “বিসিবির কিছু বোর্ড পরিচালকের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তারা আমাকে নিশ্চিত করেছেন, এই বিষয়ে শিগগিরই আমার সঙ্গে বসে সমাধান করা হবে।” তিনি আরও যোগ করেন, “মজার বিষয় হলো, ৪৬ কোটি টাকার এই ফিগার নিয়ে না তাদের কাছে কোনো জবাব আছে, না আমার কাছে। কিন্তু বাজারে এই ৪৬ কোটি টাকার গুঞ্জন ঘুরছে।”
চিটাগং কিংসের বিরুদ্ধে একাধিক আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। গত আসরে দীর্ঘদিন পর বিপিএলে ফিরে শহীদ আফ্রিদি, শন টেইটের মতো তারকা ক্রিকেটারদের দলে নিয়েও তাদের পারিশ্রমিক পরিশোধ করেননি সামির। এমনকি উপস্থাপিকা ইয়াশা সাগরের পারিশ্রমিকও আটকে দেওয়া হয়। বিপিএল চলাকালীন পারভেজ হোসেন ইমনের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট না হওয়ার অজুহাতে তার পারিশ্রমিক দিতে অস্বীকৃতি জানান সামির। এছাড়া, পেসার শরীফুল ইসলামের ১০ লাখ টাকা এখনো বকেয়া রয়েছে।
এর আগেও ২০১২ ও ২০১৩ সালে সামির কাদেরের মালিকানাধীন চিটাগং কিংস একাধিক দেশি-বিদেশি ক্রিকেটারের পারিশ্রমিক বকেয়া রেখেছিল, যা পরে বিসিবিকে পরিশোধ করতে হয়েছিল। বিসিবির হিসাব অনুযায়ী, ১৫ লাখ ৫০ হাজার ৬৪ ডলার (১৮ কোটি ৯১ লাখ ৭৮ হাজার টাকা) পরিশোধ করা হয়েছিল। এরপরও সামিরকে একাধিক নোটিশ দেওয়া হলেও তিনি কোনো জবাব দেননি।
চিটাগং কিংসের এই বিতর্কিত কর্মকাণ্ড বিপিএলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে বলে মনে করেন অনেকে। সামির কাদেরের দাবি, তিনি এই ইস্যুতে বিসিবির সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজছেন। তবে এই বিতর্ক কীভাবে সমাধান হবে, তা নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে কৌতূহল রয়েছে।