গত মৌসুমে ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শ্যু জেতা ফরাসি তারকা এমবাপ্পে দ্বিতীয়ার্ধের ষষ্ঠ মিনিটে (৫১তম মিনিট) গোলটি করেন। ওসাসুনার ডিফেন্ডার হুয়ান ক্রুজ তাকে বক্সের মধ্যে ফাউল করলে রেফারি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন। এমবাপ্পে ঠাণ্ডা মাথায় শট নিয়ে গোলরক্ষক সার্জিও এররেরাকে বিপরীত দিকে পাঠিয়ে জালে বল জড়ান। এই গোলই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে।
২০০৮ সালের পর থেকে লা লিগার উদ্বোধনী ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদ কখনো হারেনি, এবং এবারও সেই রেকর্ড অক্ষুণ্ণ থাকল। ম্যাচটি ছিল রিয়াল মাদ্রিদের জন্য নতুন অধ্যায়ের সূচনা। গত মৌসুমে কার্লো আনচেলত্তির অধীনে লিগ ও চ্যাম্পিয়নস লিগ হারানোর পর আলনসোর নেতৃত্বে দলটি জয় দিয়ে মৌসুম শুরু করল।
এই ম্যাচে লিভারপুল থেকে আগত ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার-আর্নল্ড লা লিগায় অভিষেক করেন। তার সঙ্গে নতুন সাইনিং ডিন হাউসেন এবং আলভারো ক্যারেরাসও মাঠে নামেন। তবে চোটের কারণে তারকা মিডফিল্ডার জুড বেলিংহাম খেলতে পারেননি। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি অক্টোবর পর্যন্ত মাঠের বাইরে থাকতে পারেন।
প্রথমার্ধে রিয়াল মাদ্রিদকে বেশ কয়েকবার দূরপাল্লার শটের উপর নির্ভর করতে হয়। ডিফেন্ডার ডিন হাউসেন এবং এদার মিলিতাও দূর থেকে শট নেন, কিন্তু ওসাসুনার গোলরক্ষক সার্জিও এররা তা রুখে দেন। ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের পাস থেকে এমবাপ্পে একটি সুযোগ পেয়েছিলেন, কিন্তু তিনি তা কাজে লাগাতে পারেননি।
দ্বিতীয়ার্ধে আলনসো ১৮ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন তরুণ ফ্রাঙ্কো মাস্তানতুওনোকে মাঠে নামান। অভিষেক ম্যাচে তিনি ভালো খেললেও গোলের দেখা পাননি। ওসাসুনার পক্ষে খুব কম সুযোগ এসেছিল। তাদের স্ট্রাইকার আনতে বুদিমির একটি হেড বাইরে পাঠান। শেষ মুহূর্তে ওসাসুনার অ্যাবেল ব্রেতোনেস গনজালো গার্সিয়ার উপর ফাউল করে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন।
এই জয়ের মধ্য দিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ লা লিগার নতুন মৌসুমে শক্তিশালী শুরু করল। গত মৌসুমে ৩১ গোল করে লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়া এমবাপ্পে এবারও প্রথম ম্যাচে গোল করে দলের ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হলেন। আলনসোর অধীনে রিয়াল মাদ্রিদের এই জয় বার্সেলোনার বিপক্ষে শিরোপা লড়াইয়ে তাদের শক্ত অবস্থানের ইঙ্গিত দিচ্ছে।