ফিলিস্তিন জাতীয় দলের সাবেক বাস্কেটবল খেলোয়াড় মোহাম্মেদ শালান, যিনি দেশটির ক্রীড়াঙ্গনের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় হিসেবে পরিচিত ছিলেন, গাজায় ত্রাণ সংগ্রহের সময় ইসরাইলি সেনার গুলিতে নিহত হয়েছেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে মিডল ইস্ট আই।
জানা গেছে, গাজার খান ইউনিসের কাছে একটি ত্রাণ বিতরণকেন্দ্র থেকে তার অসুস্থ মেয়ে মরিয়ম এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জন্য খাবার ও ওষুধ সংগ্রহ করতে গিয়ে মোহাম্মেদ শালান প্রাণ হারান। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৪০ বছর। স্থানীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, তার মেয়ে মরিয়ম কিডনি সমস্যা এবং রক্তে বিষক্রিয়ায় ভুগছিলেন।
শালান ফিলিস্তিনের ক্রীড়াঙ্গনে ‘আল-জিলজাল’ বা ‘ভূমিকম্প’ নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি ফিলিস্তিন জাতীয় দলের পাশাপাশি খাদামাত আল-বুরেইজ, খাদামাত আল-মাগাজি এবং খাদামাত খান ইউনিসের মতো বেশ কয়েকটি স্থানীয় দলের হয়ে খেলেছেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি তার মেয়ের সুচিকিৎসার জন্য বারবার সহায়তার আবেদন জানিয়েছিলেন।
গত কয়েক দিনের মধ্যে ইসরাইলি হামলায় ফিলিস্তিনের ক্রীড়া সম্প্রদায়ের অন্তত তিনজন সদস্য নিহত হয়েছেন। শালানের আগে রাফাহ ইউথ ক্লাবের কর্মকর্তা সালেম আল-শায়ের (২৬) এবং আল-সালাহ স্পোর্টস ক্লাবের সাবেক তারকা আহমেদ আল-জাওরানি (৪০) নিহত হন।
এছাড়া, চলতি মাসের শুরুতে ‘ফিলিস্তিনের পেলে’ হিসেবে পরিচিত ফুটবল তারকা সুলেইমান আল-ওবেইদ ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে নিহত হন। তিনি ইসরাইল-যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) ত্রাণকেন্দ্র থেকে খাবার সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন।