ম্যাচের ৮৪ মিনিট পর্যন্ত ০-২ গোলে পিছিয়ে ছিল পিএসজি। গত মে মাসে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে হারিয়ে ইউরোপা লিগ জিতে ১৭ বছরের শিরোপা খরা কাটানো টটেনহাম দ্বিতীয় ইউরোপিয়ান শিরোপার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল। কিন্তু বদলি খেলোয়াড় গনসালো রামোসের ৯৪ মিনিটের সমতাসূচক গোল তাদের স্বপ্ন ভেঙে দেয়।
ইতালির উদিনের স্টাদিও ফ্রিউলিতে ৩৯ মিনিটে ডাচ ডিফেন্ডার মিকি ফন ডার ভেন গোল করে টটেনহামকে এগিয়ে দেন। জোয়াও পালহিনহার শট পিএসজি গোলরক্ষক লুকাস শেভালিয়ের ফিরিয়ে দিলেও রিবাউন্ডে স্লাইড করে বল জালে পাঠান ফন ডার ভেন। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে পেদ্রো পোরোর ফ্রি কিক থেকে নতুন অধিনায়ক ক্রিস্টিয়ান রোমেরোর হেড শেভালিয়ের ধরতে ব্যর্থ হন, ফলে ব্যবধান ২-০ হয়।
ম্যাচের আগে পিএসজির নিয়মিত গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোনারুম্মা আকস্মিকভাবে স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েন এবং ক্লাব ছাড়ার ঘোষণা দেন। ফলে প্রথমবারের মতো পূর্ণ দায়িত্ব পাওয়া শেভালিয়ের চাপে পড়েন। তবে পিএসজি শেষ দিকে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায়। ক্লাব বিশ্বকাপ ফাইনালে হারের এক সপ্তাহ পর অনুশীলন শুরু করা দলটি ৮৫ মিনিটে লি কাং ইন-এর দূরপাল্লার অসাধারণ শটে ব্যবধান কমায়। এরপর উসমান দেম্বেলের নিখুঁত ক্রসে রামোসের হেডে ম্যাচে সমতা ফেরে।
নির্ধারিত সময় ২-২ এ শেষ হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় পেনাল্টি শুটআউটে। পিএসজির ভিতিনহা প্রথম শটে গোলবারের বাইরে মারলে টটেনহাম সুযোগ পায়। কিন্তু ফন ডার ভেনের শট ঠেকান শেভালিয়ের, এবং মাথিস তেলও গোলবারের বাইরে শট নেন। নুনো মেন্দেস স্নায়ুচাপ জয় করে জয়সূচক পেনাল্টিতে জাল কাঁপান।
টটেনহামের নতুন কোচ থমাস ফ্রাঙ্কের জন্য এটি ছিল প্রথম প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ। ইউরোপা লিগ জয়ের ১৬ দিন পর আঙ্গে পোস্তেকগলু বরখাস্ত হওয়ার পর তিনি দায়িত্ব নেন। তবে অভিষেকে দুই গোলে এগিয়ে থেকেও অভিজ্ঞ লুইস এনরিকের কাছে হার মানতে হলো তাকে। শুটআউটে ২-০ তে এগিয়ে থেকেও টটেনহাম পিএসজির নাটকীয় প্রত্যাবর্তনের কাছে হৃদয়ভঙ্গের পরাজয় বরণ করে।