হকি ইন্ডিয়ার ওই কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যম ‘দ্য হিন্দু’কে বলেন, “পিএইচএফ বুধবার এশিয়ান হকি ফেডারেশনকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে যে, নিরাপত্তার কারণে তারা এশিয়া কাপে অংশ নিতে পারবে না। আমরা এরপর বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি।”
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে রাজনৈতিক টানাপোড়েনের কারণে শুরু থেকেই পাকিস্তানের অংশগ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। যদিও জুলাইয়ের শুরুতে ভারত সরকার জানিয়েছিল, পাকিস্তান দলের জন্য ভিসা প্রদানে কোনো বাধা থাকবে না। তবুও পিএইচএফ অনিচ্ছা প্রকাশ করে এবং টুর্নামেন্টের ভেন্যু পরিবর্তনের প্রস্তাব দেয়। জুলাইয়ের শেষে পাকিস্তান ভিসার জন্য আবেদন করলেও, পরে তাদের সরকার নির্দেশ দেয় যে, স্পষ্ট অনুমতি ছাড়া কোনো ক্রীড়া দল ভারতে যাবে না।
এই সিদ্ধান্ত পাকিস্তানের জুনিয়র দলের জন্যও সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। কারণ, এই বছরের শেষে চেন্নাই ও মাদুরাইয়ে জুনিয়র বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে ২০১৬ সালে পাঠানকোট ও উরি হামলার পর উত্তেজনার কারণে পাকিস্তান ভারতে অনুষ্ঠিত জুনিয়র বিশ্বকাপ থেকেও নাম প্রত্যাহার করেছিল।
পিএইচএফ সভাপতি তারিক বুগতি আগেই আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশনকে তাদের উদ্বেগ জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারতে আমাদের দল নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। আমাদের খেলোয়াড়রাও এশিয়া কাপে ভারতে যেতে আগ্রহী নন, যদিও এটি ২০২৬ ফিআইএইচ পুরুষ হকি বিশ্বকাপের জন্য সরাসরি যোগ্যতা অর্জনের টুর্নামেন্ট।”
পাকিস্তান সর্বশেষ ২০২৩ সালে চেন্নাইয়ে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারতে খেলেছিল, যেখানে ছয় দলের মধ্যে তারা পঞ্চম স্থান অধিকার করে। এশিয়া কাপে পাকিস্তানের অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশ দল এখন টুর্নামেন্টে অংশ নেবে, যা বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিযোগিতা।