স্টার্ক অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৬৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন এবং ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন। সর্বশেষ তিনি ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেছেন। ২০১২ সালে অভিষেকের পর ৭৯ উইকেট নিয়ে তিনি অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী বোলার।
অবসরের ঘোষণা দিয়ে স্টার্ক বলেন, “টেস্ট ক্রিকেট আমার কাছে সবসময়ই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে প্রতিটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ আমি উপভোগ করেছি। বিশেষ করে ২০২১ বিশ্বকাপ, শুধু শিরোপা জয়ের জন্য নয়, অসাধারণ সতীর্থ ও দারুণ স্মৃতির জন্যও সেটি আমার কাছে বিশেষ।”
অস্ট্রেলিয়ার ২০২৬ সালের মাঝামাঝি থেকে টেস্ট সূচি ব্যস্ত হয়ে উঠবে। এর মধ্যে রয়েছে ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ, দক্ষিণ আফ্রিকা সফর, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চার টেস্ট এবং ২০২৭ সালে ভারতে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। এছাড়া, ২০২৭ সালে মেলবোর্নে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটের ১৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে একটি বিশেষ ম্যাচ, অ্যাশেজ সিরিজ এবং বছরের শেষে ওয়ানডে বিশ্বকাপ।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে স্টার্ক বলেন, “২০২৭ সালে ভারতের মাটিতে টেস্ট সিরিজ, অ্যাশেজ ও ওয়ানডে বিশ্বকাপ সামনে রেখে নিজেকে ফিট ও সেরা ছন্দে রাখা আমার কাছে জরুরি। তাই এই সিদ্ধান্ত আমার জন্য সেরা। এটি আমাদের বোলিং গ্রুপকেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতির সুযোগ দেবে।”
তবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে সরে দাঁড়ালেও ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগে খেলা চালিয়ে যাবেন স্টার্ক। তার এই সিদ্ধান্ত অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট ভক্তদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। তবে টেস্ট ও ওয়ানডে ক্রিকেটে তার পারফরম্যান্সের প্রতি ভক্তরা আশাবাদী।
