চার দিনের ব্যবধানে সান্তোসের হয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামেন নেইমার। আগের ম্যাচে ফ্লামেঙ্গোর বিপক্ষে একমাত্র গোল করে দলকে জয় এনে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু মিরাসলের মাঠে সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে ব্যর্থ হন তিনি। ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সান্তোস মিরাসলের ছায়ায় ছিল, আর নেইমার নিজেও ছিলেন নিষ্প্রভ।
ম্যাচ শেষে নেইমার বলেন, “আজ আমাদের পারফরম্যান্সে সবকিছুই অনুপস্থিত ছিল। ৩-০ ব্যবধানে হারার এটিই আসল কারণ। ফ্লামেঙ্গোর বিপক্ষে আমরা অন্তত ডিফেন্সে লড়াই করেছিলাম। কিন্তু আজ মিরাসল আমাদের চেয়ে প্রতিটি দিকেই এগিয়ে ছিল।”
নেইমারের ফিটনেস নিয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নে তার ক্ষোভ প্রকাশ পায়, যা তার মানসিক চাপ ও হতাশার প্রতিচ্ছবি। সান্তোসে জানুয়ারিতে স্বল্পমেয়াদী চুক্তিতে ফিরলেও দলের পারফরম্যান্স এখনো হতাশাজনক। ১৪ ম্যাচে মাত্র ১৪ পয়েন্ট নিয়ে সান্তোস ব্রাজিলিয়ান সেরি আ’র অবনমন অঞ্চলে রয়েছে। নেইমার ডিসেম্বর পর্যন্ত চুক্তি নবায়ন করলেও দলের জন্য আশানুরূপ সাফল্য এখনো এনে দিতে পারেননি।
নেইমারের দুই দফা সান্তোস ক্যারিয়ারে তিনি ১৪১ গোল ও ৬৯টি অ্যাসিস্টে অংশ নিয়েছেন, যা তার অতীতের উজ্জ্বলতার প্রমাণ। কিন্তু বর্তমানে দলকে অবনমন থেকে রক্ষা করতে হলে তাকে মাঠে নেতৃত্ব দিতে হবে এবং মানসিক চাপ পরিপক্বভাবে সামলাতে হবে। অন্যথায়, নেইমারের সান্তোসে প্রত্যাবর্তনের গল্প হতাশার অধ্যায় হয়েই থেকে যেতে পারে।