রবিবার, ২০ জুলাই, ২০২৫

বার্সেলোনায় রাশফোর্ডের নতুন অধ্যায়: জার্সি নম্বর নিয়ে জল্পনা

 ইংলিশ ফরোয়ার্ড মার্কাস রাশফোর্ড ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে এক মৌসুমের ধারে স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনায় যোগ দিচ্ছেন, নতুন আশার আলো নিয়ে। রোববার (২০ জুলাই) তিনি বার্সেলোনায় পৌঁছেছেন এবং সোমবার মেডিকেল পরীক্ষার পর মঙ্গলবার ‘কিউল’ সমর্থকদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচিত হবেন। তবে, তার এই যাত্রার আগেই জার্সি নম্বর নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল আলোচনা।

বার্সার উঠতি তারকা লামিন ইয়ামাল সম্প্রতি আনসু ফাতির কাছ থেকে ১০ নম্বর জার্সি নিয়েছেন, ফলে তার পুরোনো ১৯ নম্বর জার্সি এখন খালি। এই নম্বরটি রাশফোর্ডের কাছে বিশেষ, কারণ তিনি ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে এই ১৯ নম্বর জার্সিই পরেছিলেন। এছাড়া, কিংবদন্তি থিয়েরি অঁরির ১৪ নম্বর জার্সিও একটি সম্ভাবনা, কারণ অঁরি ছিলেন রাশফোর্ডের ছেলেবেলার আদর্শ। তৃতীয় বিকল্প হিসেবে রয়েছে ২২ নম্বর, যা সর্বশেষ পরেছিলেন ইলকাই গুনদোগান।

জার্সি নম্বরের পাশাপাশি রাশফোর্ডের বার্সেলোনা যাত্রার আর্থিক দিকও আলোচনায় এসেছে। জানা গেছে, কাতালান ক্লাবে খেলার স্বপ্নপূরণের জন্য তিনি ২৫ শতাংশ বেতন কমিয়েছেন। চুক্তিতে রয়েছে €৩০ মিলিয়ন ইউরো (প্রায় ৩৫ মিলিয়ন ডলার) মূল্যে স্থায়ীভাবে কেনার অপশন।
অ্যাস্টন ভিলায় ছয় মাসের ধারে থাকার পর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ফিরলেও কোচ রুবেন আমোরিম তাকে স্কোয়াডের বাইরে রাখেন। জানুয়ারি থেকেই রাশফোর্ড বার্সেলোনায় যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন, যা অবশেষে বাস্তবায়িত হয়েছে।

বার্সেলোনার তারকাখচিত আক্রমণভাগে লামিন ইয়ামাল, রাফিনিয়া, লেভানডভস্কি, ফেরান তোরেস ও দানি ওলমোর মাঝে নিজের জায়গা করে নিতে হবে রাশফোর্ডকে। কোচ হ্যান্সি ফ্লিক চান, রাশফোর্ড এশিয়া ট্যুরে (জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া) দলের সঙ্গে থাকুন, যাতে দ্রুত মানিয়ে নিতে পারেন।

বার্সা সমর্থকদের জন্য এটি এক উত্তেজনাময় অধ্যায়, তেমনি রাশফোর্ডের জন্যও এটি ক্যারিয়ার পুনর্গঠনের এক সুবর্ণ সুযোগ। তার জার্সির পেছনে কোন নম্বর থাকবে—১৯, ১৪ নাকি ২২? এই প্রশ্নের উত্তর শিগগিরই মিলবে, তবে বার্সেলোনায় রাশফোর্ডের এই যাত্রা আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে নিশ্চিত।


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.