এপ্রিলের পর প্রথমবারের মতো গতকাল (শনিবার) ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে বায়ার্ন মিউনিখের শুরুর একাদশে মাঠে নেমেছিলেন জার্মান মিডফিল্ডার জামাল মুসিয়ালা। কিন্তু এই ম্যাচেই তিনি সম্ভবত ক্যারিয়ারের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর চোটের শিকার হয়েছেন। পিএসজির বিপক্ষে বায়ার্ন ২-০ গোলে হারলেও সবকিছু ছাপিয়ে গেছে মুসিয়ালার এই চোট, যা তাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য মাঠের বাইরে রাখতে পারে। এই ঘটনায় অনেকেই দায়ী করছেন পিএসজি গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুমাকে।
গত মৌসুমে ইনজুরির কারণে বায়ার্নের হয়ে ১১টি ম্যাচ মিস করেছিলেন মুসিয়ালা। তবে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৪৪ ম্যাচে তিনি ২১ গোল ও আট অ্যাসিস্টসহ মোট ২৯ গোলের অবদান রেখেছেন। বাভারিয়ানদের অন্যতম কার্যকরী তারকা এই জার্মান মিডফিল্ডারের চোট নতুন মৌসুমের আগে বায়ার্নের জন্য বড় ধাক্কা। এখন সবার মনে প্রশ্ন, কতদিন মাঠের বাইরে থাকবেন মুসিয়ালা?
জার্মানির নিউজ আউটলেট ‘বিল্ড’-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুসিয়ালার পায়ের বেশ কয়েকটি লিগামেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এবং তিনি চার থেকে পাঁচ মাস মাঠের বাইরে থাকতে পারেন। আজ মিউনিখে ফিরেই তার পায়ে সার্জারি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বায়ার্নের স্পোর্টিং ডিরেক্টর ক্রিস্টফ ফ্রেউন্ড বলেছেন, “দুর্ভাগ্যবশত, এটি মোটেও ভালো কিছু মনে হচ্ছে না।” কোচ ভিনসেন্ট কোম্পানি বলেন, “ছবি দেখে মনে হচ্ছে এটি অ্যাঙ্কলের চোট, তবে মূল সমস্যাটা এখনই নিশ্চিত করতে পারছি না।”
ম্যাচের প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে পিএসজি গোলরক্ষক দোন্নারুমার সঙ্গে ভয়াবহ সংঘর্ষে পড়েন মুসিয়ালা। প্যারিসিয়ানদের বক্সে সতীর্থের বাড়ানো বল নিতে যাওয়ার সময় দোন্নারুমা স্লাইড করে বলের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েন। এতে মুসিয়ালার পা তার গায়ে আটকে যায়, এবং তার বাঁ পায়ের অ্যাঙ্কল ভয়াবহভাবে বেঁকে যায়। এই দৃশ্য বায়ার্ন ও পিএসজি খেলোয়াড়দেরও সহ্য হয়নি। ব্যথায় কাতরানো মুসিয়ালার পাশে দাঁড়িয়ে কেউ জার্সিতে মুখ ঢেকেছেন, কেউ শোকার্ত মুখে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন।
প্রাথমিক চিকিৎসার পর মুসিয়ালার পায়ের মারাত্মক অবস্থা দেখে তাকে স্ট্রেচারে করে মাঠ থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে আটলান্টার নিকটবর্তী একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। সংঘর্ষে দোন্নারুমাও চোট পান, তবে তিনি পরে আবার মাঠে ফিরে আসেন। এই ঘটনায় বায়ার্নের কোচ ও খেলোয়াড়রা দোন্নারুমার ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়্যার বলেন, “দোন্নারুমা ওভাবে চ্যালেঞ্জ না করলেও পারত। এটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল, সে আমাদের খেলোয়াড়কে চোটের মুখে ফেলেছে।”
নয়্যার আরও বলেন, “আমি তার কাছে গিয়ে বলেছি, ‘তোমার আমাদের খেলোয়াড়ের কাছে যাওয়ার ইচ্ছা হয়নি?’ তার সুস্থতা কামনা করা উচিত ছিল।” তবে পরে দোন্নারুমা মুসিয়ালার একটি ছবি তার ইন্সটাগ্রাম স্টোরিতে পোস্ট করে লিখেছেন, “তোমার জন্য আমার পুরো প্রার্থনা ও শুভকামনা।”
বায়ার্ন কোচ কোম্পানিও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “এখনও আমার রক্ত ফুটছে। এটা ফলাফলের জন্য নয়, বরং এমন একজন খেলোয়াড়ের সঙ্গে এমনটা হলো, যে ফুটবলকে গভীরভাবে উপভোগ করে এবং আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি সে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে।”
এদিকে, ম্যাচে পিএসজি ২-০ গোলে জয় পেলেও মুসিয়ালার চোটের ঘটনা ফুটবল বিশ্বে বড় আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বায়ার্ন সমর্থকরা এখন অপেক্ষায়, তাদের তারকা খেলোয়াড় কবে মাঠে ফিরবেন।
Note For Readers:
The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules.
Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters.
The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.