এই সিদ্ধান্ত খুব একটা অপ্রত্যাশিত নয়। শুরু থেকেই পরিকল্পনা ছিল যে, ইংল্যান্ড সফরের পাঁচ টেস্টের মধ্যে বুমরাহ তিনটিতে খেলবেন। এ কারণে তাকে অধিনায়কত্বের জন্যও বিবেচনা করা হয়নি। এই সিরিজে তিনি হেডিংলির প্রথম টেস্টে খেলেছেন, এজবাস্টনের দ্বিতীয় টেস্টে বিশ্রামে ছিলেন, এবং পরে লর্ডস ও ওল্ড ট্রাফোর্ডে খেলেছেন। তবে, ওল্ড ট্রাফোর্ডে চতুর্থ দিনের পর থেকে তিনি আর বল করেননি। শেষ দুই টেস্টের মাঝে মাত্র তিন দিনের বিরতি থাকায় দলের ব্যবস্থাপনা তাকে শেষ ম্যাচে খেলানোর কথা ভেবেছিল। কিন্তু চতুর্থ টেস্টে বুমরাহর গতি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়। লর্ডসে তার ২২.৩ শতাংশ বল ছিল ১৪০ কিমি/ঘণ্টার উপরে, কিন্তু ওল্ড ট্রাফোর্ডে তা নেমে আসে মাত্র ০.৫ শতাংশে। ৩৩ ওভারে মাত্র দুটি উইকেট নেন এবং প্রথমবারের মতো এক ইনিংসে ১০০-এর বেশি রান দেন।
এই সিরিজে এখন পর্যন্ত ১৪ উইকেট নিয়ে বুমরাহ মোহাম্মদ সিরাজের সঙ্গে যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। ম্যানচেস্টার টেস্ট ড্র হওয়ার পর কোচ গৌতম গম্ভীর বলেছিলেন, বুমরাহ ওভাল টেস্টের জন্য ফিট। তবে দুই দিন পরই বিশ্রামের ঘোষণা আসে।
বুমরাহর জায়গায় কে খেলবেন? মঙ্গলবার ভারতের ঐচ্ছিক অনুশীলনে দেখা গেছে, আকাশ দীপ পুরোদমে বল করছেন। তিনি গ্রোয়েনের চোটের কারণে চতুর্থ টেস্টে খেলতে পারেননি। তবে এজবাস্টনের দ্বিতীয় টেস্টে ১০ উইকেট নিয়ে নিজের প্রতিভা প্রমাণ করেছিলেন, যার মধ্যে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে তার ফিগার ছিল ৬/৯৯। লর্ডসে তিনি ছন্দে ছিলেন না, তবে ওভালের সিমবান্ধব কন্ডিশন তাকে সাহায্য করতে পারে।
দলের বাকি পেসারদের মধ্যে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ, শার্দুল ঠাকুর এবং অংসুল কাম্বোজ তেমন ভালো পারফর্ম করতে পারেননি। ফলে মোহাম্মদ সিরাজকেই আক্রমণের নেতৃত্ব দিতে হবে। সিরাজ এই সিরিজে ১৩৯ ওভার বল করেছেন, যা পেসারদের মধ্যে চতুর্থ সর্বোচ্চ। তার ফিটনেসও দলের জন্য বড় চিন্তার বিষয়। তৃতীয় পেসার হিসেবে খেলতে পারেন প্রসিদ্ধ বা আরশদীপ। আরশদীপ পুরোপুরি ফিট হয়েছেন এবং অনুশীলনে বল ও ব্যাটিং করেছেন।
ঋষভ পন্থ ওভাল টেস্টে খেলতে পারছেন না। তাই উইকেটরক্ষকের দায়িত্বে থাকবেন ধ্রুব জুরেল। তার ব্যাটিং নজর কাড়লেও ইংল্যান্ডে খেলার অভিজ্ঞতা নেই। ফলে ব্যাকআপ হিসেবে দলে থাকতে পারেন শার্দুল ঠাকুর।