ম্যাচের ১৩ মিনিটে জার্মানির ক্যাথরিন হেনড্রিখ লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন, ফলে দলটি ১০ জনের দলে পরিণত হয়। এই সুযোগে ফ্রান্সের গ্রেস গেইয়োরো পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন। তবে পিছিয়ে পড়েও হাল ছাড়েনি জার্মানি। ২৫ মিনিটে ক্লারা বুয়েলের কর্নার থেকে সজোকে নিউসকেন হেড করে গোল করে সমতা ফেরান।
ম্যাচে ফ্রান্সের দুটি গোল অফসাইডের কারণে বাতিল হয়। ডেলফিন ক্যাসকারিনো এবং গ্রেস গেইয়োরোর শট জালে পৌঁছালেও লাইনসম্যানের পতাকায় তা বাতিল হয়ে যায়। দ্বিতীয়ার্ধে নিউসকেনের আরেকটি পেনাল্টি ঠেকিয়ে দেন ফরাসি গোলকিপার পলিন পেইরো-ম্যাগনিন। অতিরিক্ত সময়েও কোনো দল গোল করতে পারেনি, ফলে ম্যাচ গড়ায় পেনাল্টি শুটআউটে।
শুটআউটে ফ্রান্সের আমেল মাজরি এবং অ্যালিস সোমবাথের শট ঠেকিয়ে দিয়ে নায়িকা বনে যান জার্মান গোলরক্ষক আন-ক্যাথরিন বার্গার। তিনি নিজেও একটি পেনাল্টি শটে গোল করেন। জার্মানির সারা ডেব্রিটজের শট ক্রসবারে লেগে বাইরে যায়, তবে বার্গারের দুটি সেভ জার্মানিকে ৬-৫ ব্যবধানে জয় এনে দেয়।
এই জয়ে জার্মানি সেমিফাইনালে উঠেছে, যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন স্পেন। ম্যাচটি আগামী বুধবার জুরিখের স্টেডিয়ন লেটজিগ্রুন্ডে অনুষ্ঠিত হবে। ফ্রান্সের জন্য এটি টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে চতুর্থবারের মতো বিদায়, যা অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় সর্বোচ্চ।