ডব্লিউসিএল-এর পক্ষ থেকে এক্সে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, “পাকিস্তান হকি দলের ভারত সফর এবং সাম্প্রতিক ভারত-পাকিস্তান ভলিবল ম্যাচের প্রেক্ষিতে আমরা ভেবেছিলাম, এই ম্যাচের মাধ্যমে ভক্তদের জন্য কিছু সুখস্মৃতি ফিরিয়ে আনা যাবে। কিন্তু অনিচ্ছাকৃতভাবে আমরা অনেকের অনুভূতিতে আঘাত করেছি। এ জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত এবং ভারত-পাকিস্তান ম্যাচটি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
ভারতীয় দলের অধিনায়ক বিশ্বকাপজয়ী তারকা যুবরাজ সিংয়ের নেতৃত্বে গঠিত লিজেন্ডস দলে ছিলেন শিখর ধাওয়ান, হরভজন সিং, ইরফান পাঠান, সুরেশ রায়না, রবিন উথাপ্পা ও বরুণ অরুন। এই দলের অধিকাংশ খেলোয়াড় পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলতে অস্বীকৃতি জানান।
গত এপ্রিলে জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হন এবং ২০ জন আহত হন। এই হামলার পর ভারত সরকার ‘অপারেশন সিঁন্দুর’ পরিচালনা করে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়, যা এই ম্যাচ বাতিলের অন্যতম কারণ।
শিখর ধাওয়ান তার এক্স হ্যান্ডেলে একটি বিবৃতি শেয়ার করে বলেন, “আমি পাকিস্তানের বিপক্ষে কোনো ম্যাচে অংশ নিচ্ছি না। এই সিদ্ধান্ত আমি গত ১১ মে ফোন ও হোয়াটসঅ্যাপে আলোচনার মাধ্যমে জানিয়েছিলাম। পেহেলগাম হামলা এবং বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা লিগ কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের এই অবস্থান বুঝতে এবং সম্মান জানানোর অনুরোধ জানাই।”
শিখর ধাওয়ান ছাড়াও সুরেশ রায়না, হরভজন সিং, ইরফান পাঠান এবং ইউসুফ পাঠানসহ একাধিক ভারতীয় ক্রিকেটার এই ম্যাচে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এছাড়া, টুর্নামেন্টের অন্যতম স্পনসর ইজমাইট্রিপও তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে বলেছে, “আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে জড়িত কোনো ম্যাচের সঙ্গে যুক্ত থাকব না। আমরা ভারতীয় দলকে সমর্থন করি, তবে পাকিস্তানের সঙ্গে কোনো ম্যাচে আমাদের সমর্থন থাকবে না।”
২০২৪ সালে এই টুর্নামেন্টের প্রথম আসরে ভারতীয় দল পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল। এ বছর ডব্লিউসিএল-এর দ্বিতীয় আসর ১৮ জুলাই থেকে ২ আগস্ট পর্যন্ত ইংল্যান্ডের বার্মিংহাম, লেস্টার, লিডস এবং নরথ্যাম্পটনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে ভারত, পাকিস্তান, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকার অবসরপ্রাপ্ত ক্রিকেটাররা অংশ নিচ্ছেন।