শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫

বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজের সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রি, তবে বিস্তারিত প্রকাশে অনীহা বিসিবির


চলতি বছরে ঘরের মাটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলেছিল বাংলাদেশ। সেই সিরিজের সম্প্রচার স্বত্ব কিনতে কেউ আগ্রহ দেখায়নি। ফলে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বিটিভিতে খেলা সম্প্রচারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আসন্ন বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজের সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রি নিয়েও শঙ্কা দেখা দিয়েছিল। তবে সেই শঙ্কা এখন দূর হয়েছে। এই সিরিজের সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রি হয়েছে, কিন্তু কত টাকায় বিক্রি হয়েছে, তা এখনই বিস্তারিত জানাতে চায় না বিসিবি।

শনিবার (১২ জুলাই) গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিসিবি পরিচালক ইফতেখার রহমান মিঠু বলেন, 'টিভি স্বত্বের বিষয়টা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতেই জানানো হবে। শুরুতে আমরা নির্ধারিত অর্থটা পাইনি। তখন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করে একদম নির্ধারিত অর্থের কাছাকাছি পাওয়া গেছে।' তিনি আরও বলেন, 'বিভিন্ন কোম্পানি নিয়েছে (টিভি স্বত্ব)। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান এবং ব্রিটেনের চারটি ভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হয়েছে। সবকিছু চূড়ান্ত হয়েছে। এখন শুধু চুক্তির আনুষ্ঠানিকতা বাকি। এবার জোন ভাগ করে দিয়েছিলাম সর্বোচ্চ অর্থ পাওয়ার জন্য।' বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত ৪ কোটি টাকাতেই টিভি স্বত্ব বিক্রি হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মিঠু বলেন, 'প্রায় আমাদের নির্ধারিত অর্থের কাছাকাছিই পাওয়া গেছে। কিন্তু বিডিং হয়েছিল অনেক কম। বিডিং যেহেতু নির্ধারিত অর্থের কাছাকাছি পৌঁছাচ্ছিল না, তাই যারা আগ্রহ দেখিয়েছিল তাদের সঙ্গে আলোচনা করে নানা প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হয়েছে।' বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ম্যাচ প্রচারে সম্প্রচারকারী চ্যানেলগুলোর হঠাৎ অনাগ্রহের কারণ প্রসঙ্গে মিঠু বলেন, 'অবশ্যই দলের পারফরম্যান্স এর অন্যতম কারণ হতে পারে। তবে এটা বলা যায় না যে শুধু এটাই কারণ। বর্তমানে পুরো দেশ একটা পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ফুটবল ভালো করছে, অনেকে বলছে আইকন আছে (প্রবাসী নতুন ফুটবলাররা)... সবকিছু মিলিয়েই এই অবস্থা হয়েছে।' তিনি আরও যোগ করেন, 'আরেকটা বিষয় হচ্ছে, আমরা সবসময় লম্বা সময় নিয়ে কাজ করি। আমাদের দোষ স্বীকার করতে হবে যে আমরা পাকিস্তান সিরিজের কাজ শুরু করতে একটু দেরি করেছি। জিম্বাবুয়ে সিরিজের সময়ও একই অবস্থা ছিল। এখন যে প্রক্রিয়ায় যাচ্ছি, টেন্ডার হয়ে গেছে। আগস্ট-সেপ্টেম্বর থেকে আমরা লম্বা সময় নিয়ে কাজ করব। তখন এই সমস্যা আর হবে না।'

Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.