শনিবার, ২৬ জুলাই, ২০২৫

হাবিবুল বাশার ও আব্দুর রাজ্জাকের নতুন ভূমিকা: ম্যাচ রেফারি হিসেবে যাত্রা শুরু

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক দুই তারকা ক্রিকেটার হাবিবুল বাশার সুমন এবং আব্দুর রাজ্জাক এখন থেকে ম্যাচ রেফারির নতুন ভূমিকায় অভিষেক করতে যাচ্ছেন। দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচক প্যানেলে দায়িত্ব পালনের পর এই দুই কিংবদন্তি এখন ক্রিকেট মাঠে নতুন দায়িত্ব নিয়ে কাজ শুরু করবেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল।

বিসিবির তত্ত্বাবধানে ভবিষ্যত ম্যাচ রেফারিদের জন্য একটি দুই দিনব্যাপী কর্মশালা ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চলা এই কর্মশালা আজ রোববারও অব্যাহত থাকবে। এতে অংশ নিয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন, আব্দুর রাজ্জাক, আরাফাত সানী, ইলিয়াস সানী, নাইম ইসলাম এবং ফজলে মাহমুদসহ আরও অনেকে।

বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল গণমাধ্যমকে বলেন, “হাবিবুল বাশার সুমন, আব্দুর রাজ্জাকের মতো ক্রিকেটাররা ম্যাচ রেফারি হতে যাচ্ছেন। আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য মানসম্পন্ন ম্যাচ রেফারি তৈরি করা, যারা আন্তর্জাতিক পর্যায়েও ভালো করতে পারেন। সৈকত, রাহুল, সোহেল, জেসিরা ইতোমধ্যে এটা দেখিয়েছে। আমাদের সবকিছু আল্লাহর রহমতে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, এটা দেখে ভালো লাগছে।”

বিসিবির পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেন, “এই কর্মশালায় যারা অংশ নিচ্ছেন, তাদের মান বাংলাদেশ ক্রিকেটকে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। বিগত বছরগুলোতে মাঠে নিয়ন্ত্রণহীনতার সমস্যা দেখা গেছে, কারণ আমাদের ম্যাচ রেফারির সংখ্যা ছিল সীমিত এবং সবাই মানসম্পন্ন ছিল না। এখন হাবিবুল বাশার, আব্দুর রাজ্জাকের মতো শক্তিশালী ব্যাকগ্রাউন্ড ও ইমেজের ক্রিকেটাররা এই দায়িত্ব নিচ্ছেন। আমরা আশা করছি, তারা দারুণ কাজ করবেন এবং চেষ্টা করলে আমাদের ম্যাচ রেফারিরা আন্তর্জাতিকভাবে অনেক দূর যেতে পারবেন।”

এই কর্মশালা বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভবিষ্যত ম্যাচ রেফারিদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং মাঠে খেলার মান নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছে বিসিবি।


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.