এখনও সিরিজের একটি টেস্ট বাকি থাকায় ২৫ বছর বয়সী এই ব্যাটারের সামনে আরও রেকর্ড গড়ার সুযোগ রয়েছে। গিল এখন ভারতের ইতিহাসে এক সিরিজে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী অধিনায়ক। তার উপরে রয়েছেন কেবল সুনীল গাভাস্কার, যিনি ১৯৭৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৭৩২ রান করেছিলেন।
গিলের এই কীর্তিতে ভারতীয় ড্রেসিংরুমে উতসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়ে। দর্শকরাও করতালির মাধ্যমে এই তরুণ ব্যাটারকে স্বাগত জানান, যিনি ইতোমধ্যেই ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপের অন্যতম ভরসা হয়ে উঠেছেন।
তবে দিনের শুরুটা ভারতের জন্য মোটেও সুখকর ছিল না। ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসের ৩১১ রানের লিডের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভারতের দুই ওপেনার শূন্য রানে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। দল তখন ০/২-এর বিপর্যয়ে। এই কঠিন পরিস্থিতিতে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক গিল এবং অভিজ্ঞ ব্যাটার কে এল রাহুল। দুজনে মিলে গড়েন অপরাজিত ১৭৪ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি। দিন শেষে ভারতের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৭৪/২, এবং ইংল্যান্ডের লিড কমে আসে ১৩৭ রানে।
কে এল রাহুল ধৈর্যশীল ব্যাটিংয়ে ১৭২ বলে ৮৭ রান করেন, আর গিল দারুণ ছন্দে খেলে দলকে ম্যাচে টিকিয়ে রাখেন। এই জুটির কল্যাণে ভারত এখনও ম্যাচে প্রতিযোগিতাপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। সিরিজের শেষ টেস্টে গিলের ব্যাট থেকে আরও বড় কিছু আসবে কিনা, সেটাই এখন দেখার বিষয়।