সোমবার, ২১ জুলাই, ২০২৫

ব্রায়ান এমবুমোর স্বপ্নপূরণ: ব্রেন্টফোর্ড থেকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে

 ছেলেবেলায় ফুটবল খেলার দিনগুলিতে ব্রায়ান এমবুমো গায়ে চাপাতেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জার্সি। তখন থেকেই এই ক্লাবকে হৃদয়ে ধারণ করেছিলেন তিনি। ক্যারিয়ারের নাটকীয় পথচলায় এখন তিনি সেই স্বপ্নের ক্লাবেরই ফুটবলার। ২৫ বছর বয়সী এই উইঙ্গারের উচ্ছ্বাস এখন আকাশছোঁয়া।

সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা এসেছে, ব্রেন্টফোর্ড ছেড়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দিয়েছেন এমবুমো। গত কিছুদিন ধরে সংবাদমাধ্যমে এই ট্রান্সফার নিয়ে জল্পনা চলছিল, যা এখন বাস্তবে রূপ নিয়েছে।

ব্রেন্টফোর্ডে ছয় বছর কাটানো এমবুমো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে পাঁচ বছরের চুক্তি সই করেছেন, যা এক বছর বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। ট্রান্সফার ফি হিসেবে ইউনাইটেডকে খরচ করতে হবে সাড়ে ছয় কোটি পাউন্ড (৮ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার), যার সঙ্গে বিভিন্ন সংযুক্তি মিলিয়ে আরও প্রায় ৬০ লাখ পাউন্ড।

ক্যামেরুনের বাবা ও ফরাসি মায়ের সন্তান এমবুমো জন্মেছেন ফ্রান্সে। বয়সভিত্তিক ফুটবলে ফ্রান্সের হয়ে অনূর্ধ্ব-২১ পর্যন্ত খেললেও জাতীয় দল হিসেবে বেছে নিয়েছেন ক্যামেরুনকে। ফ্রান্সের তোয়াহ ক্লাবের একাডেমিতে ১৪ বছর বয়সে পা রেখে নিজেকে গড়ে তুলেছেন তিনি। সেখান থেকেই পেশাদার ফুটবলে তার অভিষেক। ২০১৯ সালে ব্রেন্টফোর্ডে যোগ দেন তিনি, যেখানে গত মৌসুমে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ২০ গোল করে লিগের চতুর্থ সর্বোচ্চ গোলদাতা হন।

ইউনাইটেড ছাড়াও নিউক্যাসল ইউনাইটেড, টটেনহ্যাম হটস্পার, আর্সেনাল ও চেলসির মতো ক্লাবগুলো তার প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত উচ্চ পারিশ্রমিক ও স্বপ্নের ক্লাবের ডাকে সাড়া দিয়ে ইউনাইটেডে যোগ দেন এমবুমো।

চুক্তি সইয়ের পর এমবুমো বলেন, “ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দেওয়ার সুযোগ পেয়ে আমার স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। এই ক্লাবের জার্সি গায়ে আমি বেড়ে উঠেছি। আমার মানসিকতা সবসময়ই গতকালের চেয়ে ভালো হওয়া। কোচ হুবেন আমুরির কাছ থেকে শিখে এবং বিশ্বমানের ফুটবলারদের সঙ্গে খেলে নতুন উচ্চতায় পৌঁছাতে চাই।”

মূলত রাইট উইঙ্গার হলেও সেন্টার ফরোয়ার্ড হিসেবেও দক্ষ এমবুমো। আসন্ন যুক্তরাষ্ট্রে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতি ম্যাচগুলোয় তিনি ক্লাবের জার্সিতে মাঠে নামতে পারেন।


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.