সোমবার বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় রাউন্ড রবিন লিগের শেষ ম্যাচে নেপালকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। ম্যাচের সবকটি গোলই করেন সাগরিকা। চার দলের এই টুর্নামেন্টে টানা ছয় ম্যাচ জিতে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থেকে শিরোপা জিতল বাংলাদেশ, রানার্সআপ হয় নেপাল।
ম্যাচ শুরুর আগে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বিষণ্ণ আবহেও শুরু থেকে নেপালের রক্ষণে চাপ সৃষ্টি করে বাংলাদেশ। আক্রমণে নেতৃত্ব দেন নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরা সাগরিকা। আসরের প্রথম মুখোমুখিতে নেপালের বিপক্ষে ৩-২ গোলে জয়ের ম্যাচে লাল কার্ড দেখে তিন ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি।
দ্বিতীয় মিনিটেই সাগরিকার কাছের পোস্টে নেওয়া শট লাফিয়ে ঠেকান নেপালের গোলকিপার। এরপর গোলমুখে বল পেয়েও শান্তি মার্দি সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। তবে অষ্টম মিনিটে সতীর্থের থ্রু পাসে অফসাইড ফাঁদ ভেঙে বল নিয়ন্ত্রণে নেন সাগরিকা। গোলকিপারকে কাটিয়ে নিখুঁত কোনাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি।
১৮তম মিনিটে বাংলাদেশের গোলকিপার মিলি আক্তারের হাত গলে বল বেরিয়ে গেলে নেপালের মিনা দেউবার শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে, বেঁচে যায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধে আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে ২০২৩ সালের এই টুর্নামেন্টের প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। ৫২তম মিনিটে সতীর্থের পাস প্রথম স্পর্শে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দারুণ শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সাগরিকা।
এরপর ৫৫তম মিনিটে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন এই ফরোয়ার্ড। মাঝমাঠ থেকে আসা লং ক্রস চিপ শটে গোলকিপারের মাথার ওপর দিয়ে জালে জড়ান তিনি। এর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৯-১ গোলে জয়ের ম্যাচেও হ্যাটট্রিক করেছিলেন সাগরিকা। ৭৬তম মিনিটে পায়ের কারিকুরিতে বল বের করে গোলরক্ষকের পাশ দিয়ে চতুর্থ গোলটি করেন তিনি। এরপর বাংলাদেশের কোচ পিটার জেমস বাটলার তাকে তুলে নেন।
ঘরের মাঠে অপরাজিত থেকে শিরোপা ধরে রাখার আনন্দে মেতে ওঠে বাংলাদেশ দল।