৩৭ বছর বয়সী এই জ্যামাইকান অলরাউন্ডার তার বিদায়ী ইনিংসেও নিজের ঝলক দেখিয়েছেন। মাত্র ১৫ বলে ৩৬ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন তিনি, যেখানে ছিল চারটি ছক্কা ও দুটি চার। তার স্ট্রাইক রেট ছিল অবিশ্বাস্য ২৪০। রাসেলের এই ঝড়ো ইনিংসের সুবাদে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৭২ রান তুললেও ৮ উইকেট হারাতে হয়।
ম্যাচের ফলাফলের চেয়েও আলোচনায় ছিল রাসেলের বিদায়। সিরিজ শুরুর আগেই তিনি জানিয়েছিলেন, এটিই তার শেষ আন্তর্জাতিক সিরিজ। ম্যাচ শুরুর আগে টস জিতে অস্ট্রেলিয়া ফিল্ডিং নেয়, এবং সবাই জানত, এই ম্যাচেই শেষবারের মতো মেরুন জার্সিতে দেখা যাবে রাসেলকে।
বিদায়বার্তায় রাসেল বলেন, “কী বলব, বুঝতে পারছি না। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলা আমার জীবনের অন্যতম গর্বের মুহূর্ত। আমি চেয়েছিলাম মেরুন জার্সিতে নিজের ছাপ রেখে যেতে। যেন আমি অন্যদের অনুপ্রেরণা হতে পারি। ঘরের মাঠে, পরিবারের সামনে খেলতে ভালোবাসি। আমি চেয়েছিলাম আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারটা উচ্চতায় শেষ করতে, যেন ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য রোল মডেল হতে পারি।”
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রাসেল খেলেছেন ১৪৩টি ম্যাচ, যার মধ্যে রয়েছে ৮৬টি টি-টোয়েন্টি, ৫৬টি ওয়ানডে এবং একটি টেস্ট ম্যাচ। তিনি ২০১২ ও ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন।
ম্যাচ শেষে রাসেল যখন মাঠ ছাড়ছিলেন, তখন সতীর্থরা দুই পাশে লাইন করে দাঁড়িয়ে তাকে সম্মান জানান। এই সম্মানজনক বিদায়ের মধ্য দিয়ে মাঠ ছেড়েছেন রাসেল, যিনি এক যুগেরও বেশি সময় ধরে তার ব্যাট, বল, সাহস আর চরিত্র দিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।