আগামী ২ থেকে ১০ আগস্ট লাওসে অনুষ্ঠিত হবে এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপের বাছাইপর্ব। বাংলাদেশের গ্রুপে রয়েছে স্বাগতিক লাওস, দক্ষিণ কোরিয়া এবং তিমুর-লেস্তে। এই বাছাইপর্বে আট গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন এবং সেরা তিন রানার্সআপ দল ২০২৬ সালের এপ্রিলে মূলপর্বে খেলার সুযোগ পাবে।
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে নেপালের বিপক্ষে ৪-০ গোলের জয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়া বাংলাদেশ দলের কোচ পিটার বাটলার জানিয়েছেন, তার দল এখন কঠিন চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত। তিনি বলেন, “আমরা শক্তিশালী দলগুলোর মুখোমুখি হব। এটি আমাদের মেয়েদের জন্য নিজেদের সামর্থ্য পরীক্ষার সুযোগ। আমরা আমাদের সেরাটা দেব।”
গত মাসে বাংলাদেশের সিনিয়র নারী ফুটবল দল প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। ঋতুপর্ণা, রুপনাদের পথ অনুসরণ করে অনূর্ধ্ব-২০ দলের মেয়েরাও এশিয়ান মঞ্চে নিজেদের প্রমাণ করতে মুখিয়ে আছেন। দলের ফরোয়ার্ড সাগরিকা, যিনি সাফে হ্যাটট্রিকসহ দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন, ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমারকে অনুসরণ করেন। তিনি মনে করেন, তার ড্রিবলিং ক্ষমতা আগের তুলনায় আরও উন্নত হয়েছে।
সাফের শিরোপা জয়ের পর এখন সাগরিকা, শান্তি মার্ডি ও তাদের সতীর্থরা লাওসের বাছাইপর্বে সাফল্যের স্বপ্ন দেখছেন। তাদের এই যাত্রা বাংলাদেশের নারী ফুটবলের জন্য এক নতুন মাইলফলক হতে পারে।