চলুন, দেখে নিই রিয়াল মাদ্রিদের ১০ নম্বর জার্সি যে সব কিংবদন্তির গায়ে উঠেছে, তাদের কয়েকজনের গল্প:
লুইস ফিগো: পর্তুগিজ তারকা লুইস ফিগো ১৯৯৯ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত রিয়াল মাদ্রিদে ১০ নম্বর জার্সি পরেছেন। বার্সেলোনা থেকে রিয়ালে তার যোগদান নিয়ে বিতর্ক থাকলেও, সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে তিনি জিতেছেন দুটি লা লিগা ও একটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা। এই সময়ে তিনি ৩৮টি গোল করেন।
রবিনিও: ব্রাজিলীয় তারকা রবিনিও ২০০৫ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত এই জার্সি পরেছেন। রিয়ালে তিনি ছিলেন তৃতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা এবং অ্যাসিস্টে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। তবে ইনজুরির কারণে তার ক্যারিয়ারে বাধা পড়ে।
ওয়েসলি স্নেইডার: ডাচ মিডফিল্ডার ওয়েসলি স্নেইডার ২০০৮-০৯ মৌসুমে মাত্র এক বছর ১০ নম্বর জার্সি পরেছেন। ইনজুরির কারণে ৫২ ম্যাচে তিনি মাত্র ১১ গোল করতে পারেন।
লাসানা দিয়ারা: ২০০৯ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ফরাসি মিডফিল্ডার লাসানা দিয়ারা এই জার্সি পরেছেন। জোসে মরিনিওর অধীনে তিনি শুরুর একাদশে জায়গা পেলেও পরে সামি খেদিরার কাছে জায়গা হারান।
মেসুত ওজিল: জার্মান মিডফিল্ডার মেসুত ওজিল রিয়াল সমর্থকদের কাছে অবিস্মরণীয়। ২০১০ সালে তার প্রথম মৌসুমে তিনি ইউরোপের সর্বোচ্চ অ্যাসিস্ট প্রদানকারী ছিলেন। পরের মৌসুমে তিনি ১০ নম্বর জার্সি পান।
হামেস রদ্রিগেজ: ২০১৪ সালে কলম্বিয়ান মিডফিল্ডার হামেস রদ্রিগেজ রিয়ালে যোগ দিয়ে ১০ নম্বর জার্সি পান। ২০১৭ সালে তিনি লোনে বায়ার্ন মিউনিখে যান।
লুকা মদরিচ: এমবাপ্পের আগে এই জার্সি পরা শেষ ফুটবলার ছিলেন ক্রোয়েশিয়ান লিজেন্ড লুকা মদরিচ। ২০১৭ থেকে গত মৌসুম পর্যন্ত তিনি ১০ নম্বর জার্সি পরে রিয়ালের ইতিহাসে নিজেকে একজন কিংবদন্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
এই ঐতিহ্যবাহী জার্সি এখন এমবাপ্পের কাঁধে। প্রশ্ন হলো, তিনি কি এই জার্সির মর্যাদা বজায় রাখতে পারবেন এবং নিজের নাম যুক্ত করতে পারবেন এই কিংবদন্তিদের তালিকায়? সময়ই বলে দেবে।