২০২২ সালের জানুয়ারিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) টেলরকে সাড়ে তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে। ২০১৯ সালে ভারত সফরে থাকাকালীন এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১৫ হাজার ডলার নেওয়ার কথা স্বীকার করেছিলেন তিনি। এছাড়া, কোকেন গ্রহণের অভিযোগও স্বীকার করেন। পরে টেলর দাবি করেন, ওই ব্যবসায়ী তাকে স্পট ফিক্সিংয়ের জন্য ব্ল্যাকমেইল করেছিলেন, তবে তিনি কোনো ফিক্সিংয়ে জড়াননি। এই ঘটনার জন্য আইসিসির অ্যান্টি-করাপশন ও অ্যান্টি-ডোপিং কোড ভঙ্গের দায়ে নিষেধাজ্ঞা পান তিনি।
দলে ফেরার পর টেলর বলেন, “আমি ভেবেছিলাম সব শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু আমি এখন এখানে, এটা এক অপার কৃতজ্ঞতার অনুভূতি। মাঝে মাঝে নিজেকে চিমটি কেটে দেখি, আমি কি সত্যিই ফিরে এসেছি! আমি প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করছি। গত দেড় বছর আমার ফিরে আসার প্রস্তুতিতে কেটেছে। ফিটনেস, টেকনিক, ডায়েট—সবকিছুতে অনেক কঠোর পরিশ্রম করেছি। এখন আমি আগের চেয়ে অনেক ফিট, সুস্থ ও মানসিকভাবে শক্ত। এটা সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র মাদকমুক্ত জীবনের কারণে।”
২০০৪ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অভিষেকের পর টেলর এখন পর্যন্ত ৩৪টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন, যেখানে তিনি ছয়টি সেঞ্চুরি ও বারোটি ফিফটি করেছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার মোট রান ৯,৯৩৮, যা জিম্বাবুয়ের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ। তিনি জিম্বাবুয়ের সর্বকালের অন্যতম সেরা ব্যাটার হিসেবে বিবেচিত হন এবং তার অভিজ্ঞতা দলের জন্য মূল্যবান সম্পদ হবে বলে মনে করছেন অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন।
জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের ম্যানেজিং ডিরেক্টর গিভমোর মাকোনি টেলরের প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “ব্রেন্ডন তার জীবনের একটি কঠিন অধ্যায় পার করেছেন এবং প্রকৃত অনুতাপ প্রকাশ করেছেন। তিনি শুধু নিজের জন্য নয়, জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের জন্যও নিজেকে প্রমাণ করার দৃঢ় সংকল্প দেখিয়েছেন। তার পরিশ্রম ও শৃঙ্খলা তাকে দলে ফিরিয়ে এনেছে।”
বুলাওয়ের কুইন্স স্পোর্টস ক্লাবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে প্রথম টেস্ট। প্রথম দিনে জিম্বাবুয়ে ১৪৯ রানে অলআউট হয়, এবং নিউজিল্যান্ড ৯২/০-তে দিন শেষ করে। দ্বিতীয় টেস্টে টেলরের প্রত্যাবর্তন দলের ব্যাটিং লাইনআপকে শক্তিশালী করবে বলে আশা করা হচ্ছে।