শুক্রবার, ২৫ জুলাই, ২০২৫

টিম ডেভিডের সেঞ্চুরির ঝড়ে ২৩ বল হাতে রেখেই সিরিজ জয় অস্ট্রেলিয়ার

 টি-টোয়েন্টিতে ২১৫ রানের লক্ষ্য এখনো অনেক দলের কাছেই যেন এক এভারেস্টসম চ্যালেঞ্জ। তবে সেই লক্ষ্যও যেন মামুলি হয়ে গেল অস্ট্রেলিয়ার সামনে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে টিম ডেভিডের দুর্ধর্ষ শতকে ভর করে ২৩ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে গেল অস্ট্রেলিয়া। এই জয়ে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করল ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।

ম্যাচের শুরুতে ব্যাট করে দারুণ সূচনা এনে দেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার শেই হোপ ও ব্রেন্ডন কিং। হোপ অপরাজিত থেকে খেলেন ৫৭ বলে ১০২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস, অন্যদিকে কিং করেন ৩৬ বলে ৬২ রান। তাদের ১২৫ রানের ওপেনিং জুটিতে ভর করেই ৪ উইকেট হারিয়ে ক্যারিবীয়রা সংগ্রহ করে বিশাল ২১৪ রান।

তবে লক্ষ্য তাড়ায় নামা অস্ট্রেলিয়া প্রথমেই চাপে পড়ে যায়। মাত্র ৯ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৮৭ রান তুলতেই হারায় ৪ উইকেট। তখনই মাঠে নামেন টিম ডেভিড এবং অভিষেক সিরিজে খেলতে নামা মিচেল ওয়েন। এই জুটি মাত্র ৪৬ বলে ১২৮ রানের জুটি গড়েন। যার মূল কৃতিত্ব টিম ডেভিডের।

মাত্র ৩৭ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি তুলে নেন ডেভিড। তার ইনিংসে ছিল ১১টি ছক্কা ও ৩টি চারের মার। এর মধ্য দিয়ে ভেঙে দেন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দ্রুততম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরির রেকর্ড, যা এতদিন ছিল জশ ইংলিসের (৪৩ বলে)। একইসঙ্গে টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ডটাও নিজের করে নেন, মাত্র ১৬ বলে অর্ধশতক তুলে নিয়ে।

ডেভিডের তাণ্ডবে সবচেয়ে বেশি ভুগেছেন গুদাকেশ মোটি—তার একটি ওভারেই উঠেছে পাঁচটি ছক্কা ও একটি চার। এছাড়া আকিল হোসেন, রস্টন চেজ, রোমারিও শেফার্ড কেউই রেহাই পাননি তার কাছ থেকে।

অন্যদিকে, মিচেল ওয়েনও ছিলেন কার্যকর—মাত্র ১৬ বলে করেন ৩৬ রান, মারেন ৩টি ছক্কা ও ২টি চার।

এই জয়ে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে অজিরা। আর স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজকে সিরিজ হারের লজ্জা সইতে হয়েছে ডেভিডের একক ব্যাটিং তাণ্ডবের কাছে।


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.