রবিবার, ২০ জুলাই, ২০২৫

পাকিস্তানের রাজনৈতিক শীতলতা ভারতের ক্রিকেটারদের টুর্নামেন্ট ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে প্রভাব ফেলেছে

 পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের রাজনৈতিক শীতল সম্পর্কের প্রভাব পড়েছে সাবেক ক্রিকেটারদের টুর্নামেন্ট ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব লেজেন্ডস লিগে। প্রতিবেশী দেশটির বিপক্ষে খেলতে চান না ভারতের অন্তিহীন পাঁচ ক্রিকেটার। তাই টুর্নামেন্টে দুই দলের প্রাথমিক পর্বের ম্যাচটি বাতিল হয়েছে।

ভারতের ক্রিকেটারদের এমন অপেশাদার সিদ্ধান্তে নাখোশ হয়েছেন শহীদ আফ্রিদি। পাকিস্তানের সাবেক অলরাউন্ডার ক্ষোভ ঝেড়ে বলেন, ‘খেলোয়াদের উচিত ক্রিকেটের ভালো দূত হয়ে থাকা।’

ছয় দল নিয়ে প্রতিযোগিতাটির দ্বিতীয় আসর বসেছে ইংল্যান্ডে। স্বাগতিক ইংল্যান্ড, ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে এই শিরোপার লড়াইয়ে অংশ নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকা। রবিবার রাতে বার্মিংহামে এই টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল ভারতের।

কিন্তু যুবরাজ সিং, শিখর ধাওয়ান, সুরেশ রায়না, হরভজন সিং, ইরফান পাঠানসহ ভারতীয় ক্রিকেটারদের অনেকেই ম্যাচটি খেলতে আপত্তি জানান। তাই শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ।

হুট করে আসা এমন সিদ্ধান্তের ক্ষোভ জানিয়ে আফ্রিদি বলেন, ভারতের খেলোয়াদের টুর্নামেন্টটি খেলতে ইংল্যান্ড এসেছে। অনুশীলনও করেছে। কিন্তু পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলবে না, এটা জানায়নি। মাঝপথে তারা জানিয়েছে, খেলব না। এমন সিদ্ধান্তে এলেমেলো হয়েছে সূচি।

আফ্রিদি বলেন, ‘টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলতে না চাওয়ার বিষয়টি আয়োজকদের আগে জানালে ভালো হতো। এখন হুট করেই সব বদলে গেছে। সবকিছু একদিনে উল্টে গেছে। শুধু একজন (মূলত কয়েকজন) খেলোয়াদের বিরোধিতায় সব পরিবর্তন হয়ে গেছে।’

আফ্রিদি দাবি করছে, ভারতের কিছু খেলোয়াদ দলের এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। অনেকের মতে, প্রতিবাদ জানানোর জন্য এটা কোনো মাধ্যম হতে পারে না। ভারত-পাকিস্তানের বৈরিতা এতদিন মূলত জাতীয় দলের খেলার ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ ছিল। শত বৈরিতার পরও দুই দেশের সাবেক ক্রিকেটারদের মধ্যে হৃদ্যতা দেখা গেছে। এবার সাবেকরাও ‘রাজনৈতিক স্রোতে’ গা ভাসিয়েছেন।


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.