শেষ মুহূর্তে তৃষ্ণার গোলে বাংলাদেশের নাটকীয় জয়!
ঢাকা, ১৩ জুলাই ২০২৫: চার জাতি সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী ফুটবল টুর্নামেন্টে স্বাগতিক বাংলাদেশ উপহার দিয়েছে এক রোমাঞ্চকর জয়। নির্ধারিত ৯০ মিনিটে স্কোরলাইন ছিল ২-২। কিন্তু ইনজুরি সময়ের শেষ মুহূর্তে তৃষ্ণা রাণীর গোল বাংলাদেশকে এনে দেয় পূর্ণ তিন পয়েন্ট। উমহেলা মারমার কাউন্টার অ্যাটাকিং পাসে নেপালের রক্ষণ ভেদ করে অসাধারণ ফিনিশিংয়ে গোলটি করেন এই ফরোয়ার্ড।ম্যাচের শুরু থেকেই দাপুটে ছিল পিটার বাটলারের দল। ১৪ মিনিটে সাগরিকার মাঝমাঠ থেকে বাড়ানো পাসে মুনকি আক্তার নেপালের দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে গোলমুখে শট নেন। বল গোললাইনের কাছে প্রতিহত হলে নেপালের গঙ্গা রোকায়া তা ফিরিয়ে দেন। কিন্তু ফিরতি বলে সিনহা জাহান শিখার শটে জালে বল। ৩৭ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মোসাম্মৎ সাগরিকা। শান্তি মার্ডির ক্রস থেকে শিখার শট প্রথমে ঠেকানো হলেও, রিবাউন্ডে ঠাণ্ডা মাথায় গোল করেন সাগরিকা। প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের গতি বদলে যায় ৫৪ মিনিটে। সাগরিকা ও নেপালের এক ডিফেন্ডারের ধাক্কাধাক্কি হাতাহাতিতে গড়ায়। রেফারি উভয়কে লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠ থেকে বের করে দেন। আক্রমণভাগের গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলারকে হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ।[ এই সুযোগে নেপাল ম্যাচে ফেরে। ৭৫ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্যবধান কমায় তারা। ৮৬ মিনিটে মীনা দেউবার গোলে ২-২ সমতায় ফেরে নেপাল। ম্যাচ তখন ড্রয়ের দিকে এগোচ্ছিল। কিন্তু ইনজুরি সময়ের সপ্তম মিনিটে, যখন সবাই ড্র ধরে নিয়েছে, উমহেলা মারমার কাউন্টার অ্যাটাকিং পাস ধরে তৃষ্ণা রাণী নেপালের রক্ষণ ভেদ করে বক্সে ঢুকে দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে গোল করেন। নেপালের গোলরক্ষক ও ডিফেন্ডার নড়ার আগেই বল জালে। মাঠে তখন উল্লাস আর গ্যালারিতে হাজার দর্শকের হাততালি ও স্লোগানে উৎসবের আমেজ। এই জয়ে টুর্নামেন্টে শিরোপার দৌড়ে অন্যতম ফেভারিট বাংলাদেশ বড় এক ধাপ এগিয়ে গেল। নেপালের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে এই জয় বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ, বিশেষ করে যখন দলে সিনিয়র দলের একাধিক ফুটবলার রয়েছেন। এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ ও নেপালই শিরোপার প্রধান দাবিদার। আফঈদা খন্দকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন টেবিলের শীর্ষে। পরবর্তী ম্যাচে ১৫ জুলাই ভুটানের মুখোমুখি হবে তারা।