শুক্রবার, ১৮ জুলাই, ২০২৫

আইপিএল থেকে বিসিসিআইয়ের বিপুল আয়: সোনার ডিম পাড়া হাঁসের গল্প

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) আয়ের প্রধান উৎস হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল), যাকে বলা হচ্ছে ‘সোনার ডিম পাড়া হাঁস’। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে বিসিসিআইয়ের মোট আয়ের অর্ধেকেরও বেশি এসেছে এই কুড়ি ওভারের জনপ্রিয় প্রতিযোগিতা থেকে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে বিসিসিআইয়ের মোট আয় ছিল ৯৭৪২ কোটি রুপি। এর মধ্যে আইপিএল থেকে এসেছে ৫৭৬১ কোটি রুপি, যা বোর্ডের মোট আয়ের ৫৯.১০ শতাংশ। আইপিএল শুরুর পর থেকেই এই টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা বিসিসিআইয়ের আয়ের মূল স্তম্ভ হিসেবে কাজ করছে।

আইপিএল ছাড়াও বিসিসিআই মেয়েদের আইপিএল (ডব্লিউপিএল), আন্তর্জাতিক ম্যাচের সম্প্রচার স্বত্ব এবং বিভিন্ন স্পনসরশিপ থেকে আয় করে। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ভারতের আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলো থেকে বোর্ডের আয় ছিল ৩৬১ কোটি রুপি। এছাড়া, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি) থেকে এই অর্থবর্ষে বিসিসিআই পেয়েছে ১০৪২ কোটি রুপি, যা মোট আয়ের ১০.৭০ শতাংশ।

বিসিসিআইয়ের স্থায়ী আমানতের পরিমাণ প্রায় ৩০ হাজার কোটি রুপি, যার সুদ থেকে বছরে প্রায় এক হাজার কোটি রুপি আয় হয়। ব্যবসায়িক কৌশলবিদ লয়েড ম্যাথিয়াস বলেন, “২০০৭ সালে আইপিএল নামক এই রাজহাঁস আবিষ্কার করে বিসিসিআই। এই প্রতিযোগিতা ঘরোয়া ক্রিকেটারদের জন্য আয়ের সুযোগ তৈরি করেছে। সম্প্রচার স্বত্ব থেকে আয় ক্রমাগত বাড়ছে, যা রঞ্জি ট্রফি স্তরের খেলোয়াড়দের আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত করছে।”

অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, আইপিএল থেকে বিসিসিআইয়ের আয় প্রতি বছর ১০ থেকে ১২ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেতে পারে। এই প্রতিযোগিতার ওপর ক্রিকেট অর্থনীতির নির্ভরশীলতা বাড়ছে, যা বিসিসিআই এবং বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির ওপর অর্থনৈতিক নির্ভরশীলতা বাড়াচ্ছে। এভাবেই ভারত ক্রিকেটে নিজেদের একাধিপত্য প্রতিষ্ঠার পথে এগিয়ে চলেছে।


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.