২৫ বছর বয়সী গিল এই সিরিজে আট ইনিংসে ৯০.২৫ গড়ে করেছেন ৭২২ রান। অধিনায়ক হিসেবে এক সিরিজে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড (৭৩২, গাভাস্কার, ১৯৭৮-৭৯ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ) ভাঙতে তার প্রয়োজন মাত্র ১১ রান। এছাড়া, ভারতীয় ব্যাটার হিসেবে এক দ্বিপাক্ষিক সিরিজে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড (৭৭৪, গাভাস্কার, ১৯৭১ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ) অতিক্রম করতে দরকার ৫৩ রান।
শুধু তাই নয়, গিলের সামনে রয়েছে প্রায় ৯০ বছরের পুরনো একটি বিশ্ব রেকর্ড ভাঙার সুযোগ। অধিনায়ক হিসেবে এক সিরিজে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড এখনো স্যার ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যানের দখলে, যিনি ১৯৩৬-৩৭ অ্যাশেজে করেছিলেন ৮১০ রান। গিল যদি এই ম্যাচে ৮৯ বা তার বেশি রান করতে পারেন, তবে তিনি নিজের নাম খোদাই করবেন ইতিহাসের পাতায়। এই রান তাকে অধিনায়ক হিসেবে সর্বোচ্চ রানের পাশাপাশি অধিনায়ক হিসেবে প্রথম সিরিজে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডও এনে দেবে।
এছাড়া, দ্য ওভালে একটি শতক করতে পারলেই গিল হবেন এক দ্বিপাক্ষিক সিরিজে পাঁচটি শতক হাঁকানো বিশ্বের প্রথম অধিনায়ক। বর্তমানে তিনি চারটি শতক নিয়ে গাভাস্কার ও ব্র্যাডম্যানের সঙ্গে যৌথভাবে শীর্ষে রয়েছেন। একটি শতক তাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্লাইড ওয়ালকটের (১৯৫৫, বনাম অস্ট্রেলিয়া) পাঁচ শতকের রেকর্ডের সমকক্ষ করবে।
ভারত বর্তমানে সিরিজে ১-২ ব্যবধানে পিছিয়ে রয়েছে। দ্য ওভালের এই ম্যাচ কেবল গিলের ব্যক্তিগত রেকর্ডের জন্যই নয়, ভারতের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। ২০০৭ সালের পর ইংল্যান্ডের মাটিতে প্রথমবার সিরিজ ড্র করার সুযোগ রয়েছে ভারতের সামনে। গিলের নেতৃত্বে তরুণ ভারতীয় দল কীভাবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে, সেদিকে তাকিয়ে থাকবে ক্রিকেট বিশ্ব।