মুম্বাই পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ফারুক অনলাইন জুয়ার প্রতি আসক্ত ছিলেন। এই আসক্তির খরচ মেটাতে তিনি জার্সিগুলো চুরি করে হরিয়ানার এক অনলাইন বিক্রেতার কাছে বিক্রি করেন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ওই বিক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেছিলেন। জার্সিগুলো বিভিন্ন আইপিএল দলের, তবে এগুলো খেলোয়াড়দের জন্য ছিল নাকি সাধারণ বিক্রির উদ্দেশ্যে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
চুরির ঘটনাটি ঘটে গত ১৩ জুন, কিন্তু এটি প্রকাশ্যে আসে সম্প্রতি, যখন বিসিসিআইয়ের একটি স্টক অডিটে গুদামের হিসাবে গরমিল ধরা পড়ে। অডিটের পর সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখা যায়, ফারুক একটি বড় কার্ডবোর্ডের বাক্স নিয়ে বিসিসিআই অফিস থেকে বের হচ্ছেন। এই ফুটেজের ভিত্তিতে বিসিসিআইয়ের এক কর্মকর্তা গত ১৭ জুলাই মেরিন ড্রাইভ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
পুলিশের তদন্তে জানা গেছে, ফারুক জার্সিগুলো কুরিয়ারের মাধ্যমে হরিয়ানার ওই বিক্রেতার কাছে পাঠিয়েছিলেন। বিক্রেতাকে তিনি জানিয়েছিলেন, বিসিসিআই অফিসে সংস্কারকাজের জন্য স্টক ক্লিয়ারেন্স সেল চলছে, এবং এই জার্সিগুলো তার অংশ। বিক্রেতা দাবি করেছেন, তিনি জানতেন না যে জার্সিগুলো চুরি করা। পুলিশ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছে।
এখন পর্যন্ত চুরি হওয়া ২৬১টি জার্সির মধ্যে মাত্র ৫০টি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। ফারুক পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি বিক্রির টাকা সরাসরি তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পেয়েছিলেন, কিন্তু সেই টাকা অনলাইন জুয়ায় হারিয়ে ফেলেছেন। পুলিশ এখন তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিবরণ পরীক্ষা করছে এই দাবির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য।
মেরিন ড্রাইভ থানায় দায়ের করা অভিযোগে ফারুকের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ২০২৩-এর ৩০৬ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে, যা চাকর বা কর্মচারী কর্তৃক মালিকের সম্পত্তি চুরির সঙ্গে সম্পর্কিত। তদন্তে পুলিশ এখনো বাকি জার্সিগুলো উদ্ধার এবং ঘটনার পুরো বিবরণ উদঘাটনের চেষ্টা করছে।
এই ঘটনা ক্রীড়া জগতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা এবং তদারকি ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তবে, ফারুক বর্তমানে জামিনে মুক্ত রয়েছেন।