বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের একটি তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত এই সংকটের জন্য দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে। বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, আমিনুল ইসলাম বুলবুল বোর্ডের অন্য পরিচালকদের সঙ্গে পরামর্শ না করেই একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, যার খেসারত এখন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে দিতে হচ্ছে। এই সিদ্ধান্তের কারণে ঢাকায় এসিসির সভা আয়োজন নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এদিকে, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান ও এসিসির সভাপতি মহসিন নাকভির কৌশলি পদক্ষেপ এই সংকটকে আরও জটিল করেছে। ভারতের ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) তার প্রভাব ও আধিপত্য বজায় রাখতে কোনো আপস করতে নারাজ, যা এশিয়া কাপের আয়োজন নিয়ে রাজনৈতিক টানাপোড়েনকে আরও তীব্র করেছে।
ক্রিকেট বিশ্লেষকদের মতে, ভারত ও পাকিস্তানের এই চলমান দ্বন্দ্ব এশিয়া কাপের ভবিষ্যত নিয়ে বড় ধরনের প্রশ্নচিহ্ন সৃষ্টি করেছে। এসিসির আসন্ন সভায় এশিয়া কাপের আয়োজন, সূচি এবং ভেন্যু নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সভাটি অনুষ্ঠিত হওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
বিসিবি এখন এই সংকট মোকাবিলায় কী পদক্ষেপ নেয়, তা নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে আগ্রহ তৈরি হয়েছে। এশিয়া কাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টের ভবিষ্যত এবং বাংলাদেশে এসিসির সভার আয়োজন নিয়ে আগামী দিনগুলোতে আরও স্পষ্টতা পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।