এই দলবদল সম্পন্ন হলে এটি হবে প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল ট্রান্সফার। এর আগে এই গ্রীষ্মে লিভারপুল বায়ার লেভারকুজেন থেকে ফ্লোরিয়ান ভার্টজকে ১৫৩ মিলিয়ন ডলারে দলে নিয়ে রেকর্ড গড়েছিল। কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে সেই রেকর্ড নিজেদের হাতে তুলে নিচ্ছে বর্তমান প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়নরা। এ মৌসুমে তারকা খেলোয়াড়দের দলে ভেড়াতে লিভারপুল এরই মধ্যে ২৫০ মিলিয়ন পাউন্ডের বেশি খরচ করেছে। ইসাক ছাড়াও হুগো একিতিকে, মিলোস কেরকেজ, জেরেমি ফ্রিমপং, জিওভান্নি লিওনি এবং ভার্টজকে দলে নিয়ে তারা শক্তিশালী স্কোয়াড গড়ে তুলেছে।
গত মৌসুমে নিউক্যাসলের হয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন ইসাক। প্রিমিয়ার লিগে ৩৪ ম্যাচে তিনি করেছেন ২৩ গোল এবং ৬ অ্যাসিস্ট। তবে নতুন মৌসুমের শুরু থেকে নিউক্যাসলের সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতি ঘটতে থাকে। প্রস্তুতি ম্যাচে না খেলা, এশিয়া সফরে অনুপস্থিতি এবং জুলাই থেকে প্রাক্তন ক্লাব রিয়াল সোসিয়েদাদের সঙ্গে অনুশীলন—এসবই তার বিদায়ের ইঙ্গিত দিচ্ছিল। গত মাসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইসাক লিখেছিলেন, “নিউক্যাসলের সঙ্গে আমার সম্পর্ক আর চলতে পারে না।”
নিউক্যাসল প্রথমে ইসাককে বিক্রি করতে অনিচ্ছুক ছিল। লিভারপুলের প্রাথমিক ১১০ মিলিয়ন পাউন্ডের প্রস্তাব তারা প্রত্যাখ্যান করে। অবশেষে ১৩০ মিলিয়ন পাউন্ডের প্রস্তাবে তারা রাজি হয়।
ইসাক ইতোমধ্যে ইউরোপের তিনটি শীর্ষ লিগে নিজের প্রতিভা প্রমাণ করেছেন—লা লিগায় রিয়াল সোসিয়েদাদ, বুন্দেসলিগায় বরুশিয়া ডর্টমুন্ড এবং প্রিমিয়ার লিগে নিউক্যাসল। এবার তার সামনে বড় চ্যালেঞ্জ—লিভারপুলের রেড জার্সিতে নিজেকে প্রমাণ করা এবং রেকর্ড ভাঙা দামের যোগ্যতা দেখানো।
নতুন মৌসুমে লিভারপুল দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে। টানা তিন ম্যাচ জিতেছে তারা, যার মধ্যে রয়েছে আর্সেনালের বিপক্ষে ১-০ গোলের জয়। ইসাক আগামী কয়েক দিনের মধ্যে লিভারপুলে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেবেন। তার অভিষেক হতে পারে ১৪ সেপ্টেম্বর বার্নলির বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচে।
অ্যানফিল্ডের সমর্থকরা ইসাককে নিয়ে ইতিমধ্যেই উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছেন। মোহাম্মদ সালাহ, কোডি গাকপো এবং ভার্টজের সঙ্গে ইসাকের যোগদান লিভারপুলের আক্রমণভাগকে ইউরোপের সবচেয়ে ভয়ংকর লাইনআপে পরিণত করবে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে, নিউক্যাসলের সমর্থকদের জন্য এটি বড় ধাক্কা। তাদের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য গোলদাতাকে হারিয়ে নতুন মৌসুমে তারা কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।