রবিবার, ৩১ আগস্ট, ২০২৫

লিগস কাপ ফাইনালে হারের পর সুয়ারেজের কাণ্ড! সহকারী কোচকে থুতু নিক্ষেপ, মাঠে বিশৃঙ্খলা

 লিগস কাপ ফাইনালে ইন্টার মায়ামি ৩-০ গোলে সিয়াটল সাউন্ডার্সের কাছে পরাজিত হওয়ার পর মাঠে তৈরি হয় চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি। আর সেই বিশৃঙ্খলার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন উরুগুইয়ান তারকা লুইস সুয়ারেজ। হারের ক্ষোভে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সিয়াটলের এক সহকারী কোচের মুখে থুতু ছুঁড়ে মারেন তিনি—যা নিয়ে ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা।

ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয় সিয়াটলের লুমেন ফিল্ডে। ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়, যা দ্রুতই রূপ নেয় ধাক্কাধাকি ও হাতাহাতিতে। ওই সময় দেখা যায়, সুয়ারেজ সিয়াটল সাউন্ডার্সের এক সহকারী কোচকে কটু কথা বলার পাশাপাশি মুখে থুতু ছুঁড়ে মারেন—যা ফুটবলের ইতিহাসে অন্যতম কদর্য ও লজ্জাজনক ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

শুধু সুয়ারেজ নন, ইন্টার মায়ামির আরও কয়েকজন খেলোয়াড় জড়িয়ে পড়েন এই অপ্রীতিকর ঘটনায়। বলতাসার রদ্রিগেজ এক সিয়াটল খেলোয়াড়কে ঘুষি মারেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ধস্তাধস্তির মধ্যে টমাস আভিলেস মাটিতে পড়ে যান। পরে মার্সেলো ওয়েইগান্দ, রদ্রিগো দে পল ও গোলরক্ষক অস্কার উস্তারি পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন।

এই সংঘর্ষ ও বিশৃঙ্খলার কারণে সিয়াটল সাউন্ডার্সের শিরোপা উদযাপনও কয়েক মিনিটের জন্য স্থগিত রাখতে হয়। ম্যাচে অসহায় পারফরম্যান্সের পর ম্যাচ শেষে এই লজ্জাজনক কাণ্ড ইন্টার মায়ামির ভাবমূর্তি আরও ক্ষুণ্ণ করেছে।

তবে এই উত্তপ্ত পরিস্থিতি থেকে নিজেকে সরিয়ে রেখেছিলেন লিওনেল মেসি। ফাইনালে সুযোগ পেয়েও গোলের মুখ দেখতে না পারা মেসি মাঠ ছাড়েন হতাশা নিয়ে। কোচ হাভিয়ের মাশ্চেরানোর দল যেমন মাঠে ব্যর্থ, তেমনি মাঠের বাইরে সৃষ্টি করল এক কেলেঙ্কারির অধ্যায়।

সুয়ারেজের থুতু নিক্ষেপের ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ফুটবল বিশ্লেষক ও ভক্তদের অনেকেই এই আচরণকে ‘লজ্জাজনক’, ‘অপেশাদার’ এবং ‘শাস্তিযোগ্য’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই সুয়ারেজের বিরুদ্ধে বড় অঙ্কের জরিমানা ও ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করবে লিগ কর্তৃপক্ষ। লিগস কাপের এই ফাইনাল তাই শুধু সিয়াটলের জয় নয়, ইন্টার মায়ামির জন্য রইল এক গ্লানি ও বিতর্কের স্মারক।



Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.