ইনিগোর সঙ্গে বার্সেলোনার চুক্তি ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত থাকলেও, ক্লাব তাকে ফ্রি এজেন্ট হিসেবে ছেড়ে দিতে রাজি। গত গ্রীষ্মে সৌদি প্রো লিগ থেকে লোভনীয় প্রস্তাব পেয়েছিলেন তিনি, কিন্তু বার্সার ক্রীড়া পরিচালক ডেকো তাকে থেকে যেতে রাজি করান। এবার আল নাসর তাকে দলে ভিড়িয়ে রোনালদোর শিরোপা জয়ের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে চায়। সম্প্রতি রিও আভের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে হ্যাটট্রিক করে রোনালদো নিজের অবিচল ফর্মের প্রমাণ দিয়েছেন। আল নাসর এরই মধ্যে জোয়াও ফেলিক্সকেও দলে নিয়েছে।
ইনিগোর বিদায়ে বার্সেলোনা সরাসরি টাকা না পেলেও তার বড় অঙ্কের বেতন সাশ্রয় হবে। এই অর্থ দিয়ে নতুন খেলোয়াড় নিবন্ধন সম্ভব হবে, যা ক্লাবের বর্তমান অর্থনৈতিক সংকটের প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ। লা লিগার ১-১ নিয়মের কারণে বার্সা এখনও আয়ের পুরো অর্থ খেলোয়াড়দের পেছনে ব্যয় করতে পারছে না। তবে ইনিগোর বেতনের ৬০ শতাংশ ব্যবহার করে তারা নতুন খেলোয়াড় নিবন্ধন করতে পারবে।
লিগ শুরুর মাত্র নয় দিন বাকি থাকতে বার্সা এখনও জোয়ান গার্সিয়া, ভইচেখ শচেসনি, মার্কাস রাশফোর্ড, জেরার্ড মার্তিন, মার্ক বার্নাল, রুনি বার্দগি, হেক্টর ফোর্ট ও ওরিয়ল রোমেউকে নিবন্ধন করতে পারেনি। এর মধ্যে শেষ দুজন ফ্লিকের পরিকল্পনায় নেই।
ইনিগোর বিদায় খেলাধুলার দিক থেকে বার্সার জন্য বড় ক্ষতি। গত মৌসুমে তিনি তরুণ পাউ কুবারসির সঙ্গে জুটি বেঁধে নিয়মিত খেলেছেন এবং লা লিগা ও কোপা দেল রে জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। ২০২৩ সালে অ্যাথলেটিক বিলবাও ছেড়ে ফ্রি এজেন্ট হিসেবে বার্সায় যোগ দেন তিনি। প্রথম মৌসুমে চোটে ভুগলেও গত মৌসুমে ৪৬টি ম্যাচ খেলেছেন।
ফ্লিকের হাতে এখন সেন্টার-ব্যাক হিসেবে পাউ কুবারসি, রোনাল্ড আরাউহো এবং এরিক গার্সিয়া রয়েছেন। এছাড়া চোট থেকে ফিরবেন আন্দ্রেয়াস ক্রিস্টেনসেন, যিনি গত মৌসুমের বেশিরভাগ সময় মাঠের বাইরে ছিলেন।