ম্যাচের ৩৬তম মিনিটে গোলরক্ষকের ভুলের সুযোগে নেইমার সন্তোষের হয়ে প্রথম গোলটি করেন। এর তিন মিনিট পর, ৩৯তম মিনিটে আলভারো ব্যারেল দলের ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। প্রথমার্ধের স্টপেজ টাইমে জুভেন্টুদের হয়ে মার্সেলো হার্মেসের কর্নার থেকে উইলকার অ্যাঞ্জেল হেড করে একটি গোল শোধ করেন।
দ্বিতীয়ার্ধে সন্তোষ বেশ কিছু ভুল করলেও জুভেন্টুদের চাপ সামলে উঠে শেষ পর্যন্ত জয় নিশ্চিত করে। ৮০তম মিনিটে জুভেন্টুদের রক্ষণভাগের ভুলে পেনাল্টি পায় সন্তোষ। নেইমার সেই পেনাল্টি থেকে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করে দলকে ৩-১ ব্যবধানে জয় এনে দেন।
এই জয়ের মাধ্যমে সন্তোষ ১৮ পয়েন্ট নিয়ে রেলিগেশন জোন থেকে বেরিয়ে ১৫তম স্থানে উঠে এসেছে, যেখানে জুভেন্টুদে ১১ পয়েন্ট নিয়ে ১৯তম স্থানে রয়েছে। নেইমারের জন্য এটি ছিল বিশেষ একটি ম্যাচ। ২০২২ সালের পর এই প্রথম তিনি টানা পাঁচটি ম্যাচে পূর্ণ সময় খেলেছেন। এছাড়া, প্রায় দুই বছর পর তিনি ক্লাব পর্যায়ে জোড়া গোল করলেন। এর আগে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে ব্রাজিলের হয়ে বলিভিয়ার বিপক্ষে ৫-১ ব্যবধানের জয়ে তিনি জোড়া গোল করেছিলেন।
কিছুদিন আগে সমর্থকদের দুয়ো শুনে এবং একজন সমর্থকের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ে জড়িয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন নেইমার। তবে এই ম্যাচে তার পারফরম্যান্স প্রমাণ করেছে, তিনি এখনো মাঠে পার্থক্য গড়তে পারেন। এই জয় ও নেইমারের জোড়া গোল সন্তোষ সমর্থকদের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার করেছে।