দিনের শুরুতে ভারত তাদের প্রথম ইনিংসে ২০৪/৬ থেকে খেলা শুরু করে। কিন্তু করুন নায়ার (৫৭) এবং ওয়াশিংটন সুন্দর (২৬) দ্রুত আউট হওয়ায় ভারত আর মাত্র ২০ রান যোগ করে অলআউট হয়। গাস অ্যাটকিনসন ৫/৩৩ নিয়ে ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপ ধসিয়ে দেন, যা ছিল তার ক্যারিয়ারের চতুর্থ পাঁচ উইকেট। জশ টাঙ তিনটি উইকেট নেন। ইংল্যান্ডের পেসার ক্রিস ওকস কাঁধের চোটে ম্যাচ থেকে ছিটকে যান, যা ইংল্যান্ডের জন্য বড় ধাক্কা।
ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস শুরু হয় দুর্দান্তভাবে। বেন ডাকেট এবং জ্যাক ক্রলির উদ্বোধনী জুটি মাত্র ১২.৫ ওভারে ৯২ রান তোলে। দুপুরের খাবারের বিরতির সময় ইংল্যান্ড ছিল ১০৯/১। কিন্তু বৃষ্টিবিঘ্নিত দ্বিতীয় সেশনে মোহাম্মদ সিরাজ (৪/৮৬) এবং প্রসিধ কৃষ্ণা (৪/৬২) দুর্দান্ত বোলিংয়ে ইংল্যান্ডের মিডল অর্ডার ভেঙে দেন। একপর্যায়ে ২১৫/৭-এ দাঁড়িয়ে ইংল্যান্ড শেষ পর্যন্ত ২৪৭ রানে অলআউট হয়। হ্যারি ব্রুক ৫৭ বলে ৫৩ রানের দ্রুতগতির ফিফটি করেন, যা এই সিরিজে তার তৃতীয় পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস। জ্যাক ক্রলি সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেন। ইংল্যান্ড মাত্র ২৩ রানের স্বল্প লিড পায়, যা এই অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার সিরিজে তাদের সবচেয়ে কম লিড।
ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসে যশস্বী জয়সওয়াল ৪৯ বলে অপরাজিত ৫১ রান করে দলকে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করান। তবে লোকেশ রাহুল (৭) এবং সাই সুদর্শন (১১) আউট হন। জয়সওয়ালকে দুইবার ড্রপ করা হয়, যা ইংল্যান্ডের জন্য ব্যয়বহুল প্রমাণিত হতে পারে। দিন শেষে ভারত ৭৫/২-এ থেমে যায়, ৫২ রানের লিড নিয়ে।
দিনটি ছিল উত্তেজনাপূর্ণ এবং ব্যালান্সড। বৃষ্টির কারণে মাত্র ৭৫ ওভার খেলা সম্ভব হয়, তবে ১৫ উইকেটের পতন এবং ৩৪২ রান ম্যাচটিকে রোমাঞ্চকর করে তুলেছে। ইংল্যান্ড সিরিজে ২-১ এগিয়ে থাকলেও, ভারতের এই প্রত্যাবর্তন তাদের সিরিজ ড্র করার সম্ভাবনা জিইয়ে রেখেছে। তৃতীয় দিনে জয়সওয়ালের ব্যাটিং এবং ইংল্যান্ডের বোলিংয়ের দ্বৈরথ ম্যাচের গতিপথ নির্ধারণ করবে।